ওবিসি তালিকা অবৈধ, কলেজে ভর্তি বন্ধ: মুখ্যমন্ত্রীর নীতিকেই কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

কলকাতা : উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে ৭ মে। কিন্তু এখনও রাজ্যের কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। লক্ষ লক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত, আর এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বাধা ওবিসি শংসাপত্রকে ঘিরে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র অবৈধ। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এদিনের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগে যাঁদের শংসাপত্র রয়েছে, তাঁদের ভিত্তিতে একটি নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে এবং আগামী ৪০ দিনের মধ্যে কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।

এই রায় ঘিরেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “ওবিসি সংরক্ষণের নামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১১১টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যার মধ্যে ১০৭টিই মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। আদালতের রায়ে পরিষ্কার, এই তালিকা অবৈধ। সুপ্রিম কোর্টেও এই রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। সরকার যদি রায় মেনে চলে, তাহলে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এটাই এখন তাঁদের দোটানা।”

তিনি আরও বলেন, “৭ মে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে, অথচ এখনও কেউ কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। এটা রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে অন্যায়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা দফতরকে অবিলম্বে নির্দেশিকা জারি করতে হবে।”

শুভেন্দু দাবি করেন, “ওবিসি ইস্যু, প্রাইমারি দুর্নীতি, এসএসসি কেলেঙ্কারি আর মহার্ঘভাতা (ডিএ) নিয়ে রাজ্যবাসীর যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ‘পিসি’র বিদায়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

এখন নজর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের উপর—তাঁরা কত দ্রুত এই জট কাটাতে পারেন, সেটাই নির্ধারণ করবে লক্ষ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 9 =