রাশিয়ার চালানো হামলায় গোটা ইউক্রেনই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আতঙ্কে দেশ ছেড়েছেন। আর বহু প্রাণ অকালে চলে গিয়েছে। না, বহু চেষ্টা করেও রুশ সেনাবাহিনীকে ঠেকাতে পারেনি ইউক্রেনের সৈন্যরা। তাদের একের পর এক জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছে পুতিনের সেনারা। রাশিয়ার বোমা বর্ষনের সামনে রীতিমতো অসহায় এবং দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। আর এই সামরিক আগ্রাসনের প্রভাব থেকে ছাড় পায়নি ফুটবলও। গত ছয় মাস ধরে প্রায় স্থগিত হয়ে গিয়েছে ইউরোপের এই দেশটির ফুটবল খেলা। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন একাধিক মহিলা এবং পুরুষ ফুটবলাররা।
তবে এরই মধ্যে ভেসে এল এক স্বস্তির খবর। সেটা হল যুদ্ধের আতঙ্ক এবং সঙ্কটজনক পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করেই ফুটবলে ফিরতে চলেছে ইউক্রেন। আগামী মে মাসেই জার্মান ক্লাব বরুসিয়া মুঞ্চেনগ্লাডবাখের বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচে খেলতে নামবে ইউক্রেনের জাতীয় ফুটবল দল। এছাড়া ইউক্রেন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করে দেবে সিনিয়র দলের ফুটবলাররা। আর বরুসিয়া বিরুদ্ধে হতে চলা এই প্রীতি ম্যাচটি বিনামূল্য স্টেডিয়ামে ঢুকে বসে দেখতে পারবেন ইউক্রেনের অধিবাসীরা। আর এই ম্যাচ থেকে আসা অর্থ সবটাই যাবে ইউক্রেনের উন্নয়নের জন্য। নভেম্বর মাসের পর আর মাঠে নামেনি ইউক্রেনের সিনিয়র ফুটবল দল। যেটা টিমের জন্য খানিকটা সমস্যারই বটে। কারণ, পয়লা জুন স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের প্লে-অফ পর্বের প্রথম ম্যাচে নামবে ইউক্রেন। আর সেই ম্যাচের বিজয়ীরা প্লে-অফের ফাইনাল রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ওয়েলসের। এই দুই দলের মধ্যে জয়ীরা সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পাবে।