ব্যারাকপুর :- ঘরে ঢুকে গৃহবধূর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক শাড়ি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নিমতা থানার বেলঘড়িয়া অরবিন্দ নগরের ঘটনা। গৃহবধূ সুমনা চক্রবর্তী জানান, বুধবার দুপুরে তিন বছরের কন্যা সন্তানকে নিয়ে তিনি ঘরে একাই ছিলেন। দরজা খোলা পেয়ে এক শাড়ি ব্যবসায়ী ঘরে ঢুকে পড়েন। সুমনা দেবীর অভিযোগ, জোর করে তাকে শাড়ি নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন ওই শাড়ি ব্যবসায়ী। কিন্তু তিনি শাড়ি নিতে অরাজি থাকেন। শাড়ি ব্যবসায়ী পকেট থেকে সুগন্ধি জাতীয় কিছু বের করলেই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তারপর পকেট থেকে একটি ছুরি বের করে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যবসায়ী।
সেইসময় বাজার করে ওই বধূর মা বাড়িতে এসে চিৎকার শুরু করেন। তখনই ওই ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। এদিন বিকেলে নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুমনা দেবী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ। যদিও সুমনা দেবীর অভিযোগের তির কিন্তু তার স্বামীর দিকেই। সুমনা দেবীর দাবি, তার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। সুতরাং এই ঘটনায় তার স্বামী জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বেলঘড়িয়া পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ দাসের সঙ্গে সুমনা দেবীর বিবাহ হয়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে কন্যা সন্তান জন্ম নিতেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সুমনা দেবীকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর থেকেই সুমনা দেবী বাপের বাড়ি বেলঘড়িয়া অরবিন্দ নগরে থাকতে শুরু করেন। সুমনা দেবীর অভিযোগ, ফোনে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়। রাস্তায় দেখা হলে তাঁর স্বামী মারধরও করে। চলতি বছরের মার্চ মাসে মারধোর করার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন সুমনা দেবী। স্বভাবতই, সুমনা দেবীর সন্দেহ, শাড়ি ব্যবসায়ীর পরিচয় দিয়ে লোক পাঠিয়ে তার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই মহিলা।