কলকাতা : “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গে হয় পুলিশ নিজে তোলা আদায় করছে, নয়তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুক্তিভিত্তিক সিভিক ভলান্টিয়ারদের দ্বারা এই কাজ পরিচালনা করছে।” সোমবার এক্সবার্তায় সংশ্লিষ্ট ভিডিয়ো যুক্ত করে এ কথা লিখলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজি এখন এক পাকাপোক্ত শিল্পে পরিণত হয়েছে, যা রাজ্যের অন্যান্য বেহাল শিল্পকে ছাড়িয়ে গেছে। রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত জাতীয় বা রাজ্য সড়কে দিনের আলোতেই দেখা যায়, চুক্তিভিত্তিক সিভিক ভলান্টিয়ার তোলা তুলতে ব্যস্ত। ইদানিং তাদের দায়িত্বে থাকা কাজগুলির তালিকায় এক নতুন কাজ সংযোজিত হয়েছে – তৃণমূল নেতাদের দলীয় পতাকা উত্তোলনের ছবি তোলা।
এটাই এখন পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব চিত্র। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। মানুষ বেশিদিন তথাকথিত ‘আইন রক্ষকদের’ এই অন্যায় হেনস্থা মেনে নেবে না। একদিন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে, যদি জনগণ আইন অমান্য করতে শুরু করে, তখন এই দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ প্রশাসন তা সামলাতে পারবে না।
এই সম্মিলিত ভিডিয়োতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। সিভিক ভলান্টিয়ারদের অন্যায় আচরণের এমন অনেক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে এবং মোবাইল ফোনের সৌজন্যে তা প্রতিদিন ক্যামেরা বন্দি হয়। কিন্ত এ ক্ষেত্রে মমতা পুলিশ ও সিভিকরা নিজেদের না শুধরে, বদঅভ্যাসে পরিণত হওয়া প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজির পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে, সেই প্রবাদ বাক্যটাকেই ধ্রুব সত্য হিসেবে প্রমাণ করে দিচ্ছেন – ‘দু কান কাটা নির্লজ্জ ব্যক্তি রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলে’।