নয়াদিল্লি : এই নিয়ে টানা তিন দিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত মামলার। মঙ্গলবার এবং বুধবার দীর্ঘ সময় ধরে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ মামলাটি শুনেছে। মঙ্গলবার মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়েছে। বুধবার আদালত শুনেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য। মামলাকারী আইনজীবীদের বেশ কিছু বক্তব্যের বিরোধিতাও উঠে এসেছে সলিসিটর জেনারেলের সওয়ালে।
বৃহস্পতিবার শুরুতেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ২০২৫ সালের সংশোধিত ওয়াকফ আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি হবে কি না, শুধু সেটিই আদালত বিবেচনা করছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন, ওয়াকফ তৈরি করা এবং ওয়াকফে সম্পত্তি দান করা ভিন্ন বিষয়। তিনি বলেন, “সেই কারণে মুসলিমদের জন্য পাঁচ বছরের ধর্মপালনের কথা বলা হয়েছে। যাতে কাউকে প্রতারিত করতে ওয়াকফের ব্যবহার না-হয়। ধরে নেওয়া যাক, আমি হিন্দু হিসাবে ওয়াকফের জন্য কিছু দান করতে চাই, সেটি করাই যেতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “একজন অমুসলিম কী ভাবে ওয়াকফ তৈরি করতে পারেন? তিনি চাইলে ওয়াকফকে সম্পত্তি দান করতে পারেন।”
মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে সওয়াল করেন, “একটি সম্পত্তি সরকারি সম্পত্তি কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন একজন কালেক্টর। তার পরে বলা হচ্ছে, সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত সম্পত্তিটি ওয়াকফ হিসাবে গণ্য হবে না। কোন আইন অনুসারে এটি প্রমাণ করা যেতে পারে?”