ইটস নট ওভার, আনটিল ইটস ওভারখ। জীবন হোক বা খেলা, প্রত্যেকের জন্যই যেন এই কথা প্রযোজ্য। স্প্যানিশ তরুণও কি এই প্রেরণামূলক লাইন মাথায় নিয়েই কোর্টে নেমেছিলেন? হতেই পারে। ফরাসি ওপেনের ফাইনাল। সামনে বিশ্বের এক নম্বর প্লেয়ার জানিক সিনার। প্রতিযোগিতার শীর্ষবাছাই। তাঁর বিরুদ্ধে ২ সেট পিছিয়ে পড়া। এখান থেকে কামব্যাক করার জন্য শুধু দক্ষতাই যথেষ্ঠ নয়। প্রয়োজন ধৈর্য, প্ল্যান এবং অবশ্য সেই প্ল্যান অনুযায়ী এগনো। আলকারাজ যেন সেটাই করলেন। দখলে রাখলেন নিজের ট্রফি। ফরাসি ওপেনের লাল মাটিতে আবারও রাজ করলেন।
ফরাসি ওপেনের ফাইনালে ধুন্ধুমার লড়াই হবে এটাই তো প্রত্যাশিত ছিল! বিশ্বের এক নম্বর বনাম দুই। তা হলে এত অবাক হওয়ার কী আছে? ওই যে দুই সেটে পিছিয়ে থাকা। ইতালির জানিক সিনার প্রথম সেটে ৬-৪ জিতে নেন। এই স্কোরলাইনে বলা যায়, সহজ জয়। কিন্তু দ্বিতীয় সেট! ৭-৬ (৭-৪) স্কোরলাইনেই পরিষ্কার, প্রত্যেকটা পয়েন্টের জন্য মরিয়া লড়াই করতে হয়েছে জানিক সিনারকে। টাইব্রেকারে দ্বিতীয় সেটটি জেতেন। তার কাছে সুযোগ ছিল তৃতীয় সেটেই ম্যাচ ফিনিশ করার। আর সেখানেই ফিনিক্স হয়ে ওঠেন কার্লোস।
তৃতীয় সেটে সব ওলট-পালট। কিছুক্ষণের জন্য় খেই হারান জানিক সিনার। ৬-৪ ব্যবধানে তৃতীয় সেটটি জিতে নেন কার্লোস আলকারাজ। সিনারের কাছে সুযোগ ছিল রিবুট-রিস্টার্ট। সেটাই করেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁর পক্ষে যায়নি। আবারও টাইব্রেকার এবং চতুর্থ সেট জিতে নেন আলকারাজ। দু-বার ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে সমতা ফেরান স্প্যানিশ তরুণ। নির্ণায়ক পঞ্চম সেটে হয় পাওয়া নয়, না পাওয়া। যে কোনও দিকেই গড়াতে পারতো সেট এবং ম্যাচ। তাও গড়াল টাইব্রেকারে। ততক্ষণে কার্লোস যেন ট্রফির গন্ধ পেয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে ট্রফি নিজের কাছেই রাখলেন। কেরিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ড স্লাম, লাল-মাটির গ্র্যান্ড মঞ্চে।