মোহনবাগান নির্বাচন এখন ঠাণ্ডা ঘরে ঢুকে গিয়েছে। সৃঞ্জয় বসু আর দেবাশিস দত্ত দুই শিবিরের মিলিজুলি কমিটি নিয়েই তৈরি হচ্ছে মোহনবাগানের নতুন কমিটি। ‘অদৃশ্য শক্তি’র দৈববাণীতে মিলে গিয়েছে দুই শিবির। আসন সমঝোতাও হয়ে গিয়েছে। শনি বিকেলে পার্ক স্ট্রিটের এক অভিজাত ক্লাবে দেবাশিস দত্ত আর সৃঞ্জয় বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মধ্যস্থতাকারী। আর সেখানেই সব এক হয়ে যায়। দেড় মাসের মোহন অপেরার সমাপ্তি হয়ে যায়।
দেবাশিস দত্ত আর সৃঞ্জয় বসু- দুই কর্তার মধ্যে একজন হতে চলেছেন সভাপতি, আর একজন সচিব। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কি টুটু বসু জমানা শেষ? দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোহনবাগানের ক্ষমতায়। একটা দীর্ঘ সময় ধরে গঙ্গাপারের ক্লাবের সভাপতি। তাঁর দুই ছেলে নতুন কমিটিতে বিরাট পদে থাকলেও টুটু বসুর ভূমিকা কী? এখানেই বিরাট চমক।
ময়দানে কোনও কিছু স্ট্যাটিক নয়। প্রয়াত বাগান সচিব অঞ্জন মিত্রর এই কথাটা ময়দানে মিথ হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগানের এই নির্বাচন নাটকেও যা ভীষণভাবে বর্তমান। কয়েকদিন আগেই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সচিব দেবাশিস দত্তকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন টুটু বসু। দেবাশিসকে ‘লোভী’ বলতেও ছাড়েননি। এমনকি সৃঞ্জয় বসুও কয়েকদিন আগে আসন সমঝোতার প্রসঙ্গ ফুৎকারে উড়িয়ে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতেন। ‘অদৃশ্য শক্তি’র নির্দেশে এখন সব কিছুই অতীত।
সোমবার দেবাশিস দত্ত আর সৃঞ্জয় বসু একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করতে চলেছেন। মন্দিরতলার নির্বাচনী প্রচারে সেই আভাস দিয়ে গিয়েছেন সৃঞ্জয়। ময়দানে এখন যা খবর, তা চমকে দেওয়ার মতো।
সূত্রের খবর, মোহনবাগান ক্লাবের সংবিধানে নতুন আইন বলবৎ করা হচ্ছে। ক্ষমতা বাড়ছে ক্লাব সভাপতির। সেই সঙ্গে মোহনবাগানে নতুন আলঙ্কারিক পদের আবির্ভাব হতে চলেছে। আইএফএ-র মতো এবার মোহনবাগান ক্লাবেও আসতে চলেছে চেয়ারম্যান বা চিফ প্যাট্রন পদ। সূত্রের খবর, সেই পদই দেওয়া হবে টুটু বসুকে। অর্থাৎ নতুন কমিটিতেও ভীষণভাবে থাকবেন একদা মোহনবাগানের কল্পতরু। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষ বৈঠক ডেকে ক্লাবের সংবিধানে এই পদের সংযোজন হতে পারে বলে খবর।