কলকাতা : খিদিরপুর বাজার-সহ সাম্প্রতিক একাধিক অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে প্রমোটিংয়ের কোনো যোগ নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের জন্য মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং সচেতনতার অভাবই দায়ী।
তিনি বলেন, “কলকাতায় যেসব জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কোথাও এই অভিযোগ আসেনি যে পরে সেখানে প্রোমোটিং হয়েছে। বরং ওইসব ক্ষেত্রে আমাদের সরকারকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।”
মন্ত্রী আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। তাই অগ্নিকাণ্ড রুখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে। এই কমিটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকল বা এসওপি তৈরি করবে, যা প্রতিটি পুরসভা ও দমকল দফতরের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে।
অন্যদিকে বিধানসভার উল্লেখ পর্বে এই বিষয় নিয়েই তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত শহরে ১২টি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। অথচ রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ পরিকাঠামো তা সামাল দেওয়ার মতো নয়। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে মাত্র ১৩০টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে, কলকাতায় রয়েছে মাত্র ১৮টি—যেখানে কমপক্ষে ২০০০টি কেন্দ্র থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গত আর্থিক বছরে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে অন্তত ১৫০ জনের। বহুক্ষেত্রে আগুন লাগানোর পেছনে প্রমোটার স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রাজ্যে যেখানে প্যাড়া ও গজা বিতরণে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, সেখানে দমকল ব্যবস্থার উন্নতিতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে না—এই অভিযোগ তুলে অবিলম্বে এসওপি প্রণয়নের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা।