মোহনবাগানের বিরুদ্ধে স্বপ্নের গোল করে উচ্ছ্বসিত মহম্মদ অমিল নঈম

পেশাদার ফুটবলে সবে পা রেখেছেন। আগের বছর কালীঘাট মিলন সংঘে ছিলেন। এবার পুলিশ এসিতে যোগ দেন। আসানসোলের ছেলে। বাবা গ্যারেজের মেকানিক। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে স্বপ্নের গোল করে উচ্ছ্বসিত মহম্মদ অমিল নঈম। দেশের সেরা ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল পাবেন, কল্পনাতেও ভাবেননি। নেইমারের ভক্ত। ২১ বছরের নঈমের চুলের চাঁটও অনেকটা ব্রাজিলিয়ান তারকার মতো। ভারতীয় ফুটবলে কোনও আইডল নেই। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচটা এতটা সহজ হবে ভাবেননি। তবে ফ্লুকে জয় মানতে রাজি নয়। দাবি, তাঁরা তিন পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন। মহম্মদ নঈম বলেন, ‘সবাই বড় দলের বিরুদ্ধে গোল করতে চায়। কিন্তু আমি কোনোদিন ভাবিনি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোল পাবো। আমি এই গোল কোচ এবং সতীর্থদের উৎসর্গ করছি। আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই নেমেছিলাম। আমরা পরিকল্পনা করে খেলেছি।’ আসল লক্ষ্য আইএসএল। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানে খেলতে চান। দুই প্রধানের মধ্যে কোনও দলকে বেছে নিতে পারেননি। তবে জানান, ইস্টবেঙ্গলে তাঁর একাধিক বন্ধু রয়েছে।

এদিকে পুরোনো দলের বিরুদ্ধে জয় পেয়ে উল্লসিত শেখ সাহিল এবং শুভ ঘোষ। তবে মোহনবাগান হারলেও, তাঁদের জুনিয়রদের খেলানোর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন দু’জনেই। শেখ সাহিল বলেন, ‘মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিতে অবশ্যই ভাল লাগছে। তবে ওরা জুনিয়রদের খেলাচ্ছে। যা খুবই ভাল। ধীরে ধীরে ওরা ছন্দে ফিরবে।’ অন্যদিকে হারের দায় নিজের কাঁধে নিলেন দেগি কার্ডোজো। দাবি করেন, আরএফডিএলের ম্যাচ দেরীতে শেষ হওয়ায় প্রস্তুতির যথাযথ সময় পায়নি তাঁরা। কার্ডোজো বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভাল করেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য পেশাদার ফুটবলার তৈরি করা। আমরা দেরীতে শুরু করেছি। আরএফডিএল দেরীতে শেষ হয়েছে। আমাদের ফিটনেস লেভেল ভাল ছিল না। বিপক্ষের দলে অনেক অভিজ্ঞ ফুটবলার ছিল। আমাদের ফিটনেসে উন্নতি করতে হবে। আমরা প্লেয়ার তৈরির পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ ৩ জুলাই মোহনবাগানের পরের ম্যাচ কালীঘাটের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + nineteen =