শিলং : স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের সঙ্গে তিনি জড়িত, সংগঠিত অপরাধে তার ভূমিকা ছিল, স্পেশাল ইনভেস্টিগ্যাশন টিম (এসআইটি)-এর কাছে স্বীকার করেছেন মৃত রাজার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী, নিশ্চিত করেছে মেঘালয় পুলিশ।
মেঘালয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সময় সোনম তার স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। সোনম নাকি স্বীকার করেছেন, স্বামী রাজাকে খুন করতে যদি ‘ভাড়াটে খুনি’রা ব্যর্থ হতো, তা হলে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতে বিকল্প প্ল্যানও করে রেখেছিলেন তিনি। বিকল্প প্ল্যান কী? জেরায় সোনম বলেন, সেলফি তোলার বাহানায় রাজাকে পাহাড়ে খাদের ধারে নিয়ে কৌশলে ঠেলে ফেলে দিতেন। জেরায় এই পরিকল্পনা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা।
তবে এই স্বীকারোক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড না করা পর্যন্ত আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। তবুও তার বক্তব্য তদন্তে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, জানিয়েছে পুলিশের সূত্র।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে সোনম রঘুবংশীকে নিয়ে শিলং এসেছে রাজ্য পুলিশের দল। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য শিলং শহরের পোলো এলাকায় অবস্থিত গণেশ দাস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তিনি অন্তঃসত্ত্বা কিনা বা আনুষঙ্গিক অন্যান্য স্বাস্থ্যজনিত বিষয়ে নিশ্চিত হওয়াই লক্ষ্য পুলিশের।
হাসপাতাল থেকে আজ বুধবার কড়া নিরাপত্তা ব্যষ্টনীর মধ্য দিয়ে সোনমকে হাজির করা হয় জেলা ও দায়রা জজের আদালতে। আদালতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। কেবল সোনমই নয়, এ মামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাকি চারজনকেও মেডিক্যাল করিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোনমের চার সঙ্গী ইতিমধ্যে রাজাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। সোনমের পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই যে রাজাকে খুন করা হয়েছে, মেঘালয় পুলিশের এসআইটির কাছে স্বীকার করেছে ধৃত প্ৰেমিক রাজসিং কুশওয়াহা, আকাশ রাজপুত, বিশালসিং চৌহান এবং আনন্দ কুর্মি। সোনমদের হেফাজতে নিয়ে সোহরা (চেরাপুঞ্জি)-র অপরাধস্থলে গিয়ে সেদিনের ঘটনার পুনর্গঠন করবে পুলিশ।