হায়দরাবাদ : হায়দরাবাদে ভয়াবহ আগুন লাগল একটি বহুতলে। রবিবার সকালে হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে গুলজার হাউসের একটি বহুতলে আগুন লাগে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ জন মারা গিয়েছেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি জি কিষাণ রেড্ডি এবং তেলেঙ্গানার মন্ত্রী পুন্নম প্রভাকর। চারমিনারের বিধায়ক মীর জুলফেকার আলীও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তেলেঙ্গানার ডিজিপি ডঃ জিতেন্দ্রও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পরিদর্শন করতে চারমিনারের কাছে গুলজার হাউসে পৌঁছন।
তেলেঙ্গানার মন্ত্রী পুন্নম প্রভাকর বলেছেন, “আগুন লাগার ঘটনাটি সকাল ৬টা নাগাদ ঘটে এবং সকাল ৬:১৬ মিনিট নাগাদ তেলেঙ্গানা সরকারের দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তারা সবাইকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আগুন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। ভবনের ভেতরে থাকা বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন। রাজ্য সরকার পরিবারকে সম্পূর্ণ সহায়তা করবে। অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও ঘটনা এড়াতে আমরা একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করব। জনসাধারণকেও এই বিষয়ে দমকল বিভাগকে সহায়তা করতে হবে।”
তেলেঙ্গানার দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া ও অগ্নিনির্বাপণ পরিষেবার ডিজি ওয়াই নাগি রেড্ডি বলেছেন, “গুলজার হাউস এলাকার কৃষ্ণা পার্লস দোকান এবং আবাসিক কমপ্লেক্সে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। দমকল বিভাগ সকাল ৬:১৬ মিনিটে ফোনটি পেয়ে সকাল ৬:১৭ মিনিটের মধ্যে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়ে ১১টি দমকল ইঞ্জিন পাঠায়… দমকল বিভাগ মানুষকে উদ্ধারের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের যন্ত্র এবং অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহার করে। তথ্য অনুসারে, ১৭ জন মারা গিয়েছেন।
প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি। ভবনটিতে সুড়ঙ্গের মতো মাত্র দুই মিটার প্রবেশপথ ছিল। প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় প্রবেশের জন্য মাত্র এক মিটার সিঁড়ি রয়েছে। এর ফলে উদ্ধারকাজ খুব কঠিন হয়ে পড়ে। সকাল ৯টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভেতরে মোট ২১ জন ছিলেন, ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়নি।”