নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের দলীয় কার্যলয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। সবসময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন কেন। উনি দিল্লি গিয়ে নাটক করেন। কয়েকদিন আগে তাঁর দলের সাঙ্গোপাঙ্গরা নাটক করতে দিল্লি গিয়েছিলেন। আসলে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পায়ে হাতে ধরবেন সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য।’ দিল্লি সফরের আগে রাদ্দ বঞ্চনায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে, যে ভাবে মিডডে মিলে বড় ঘাবলা হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে। গান্ধী মূর্তির সামনে ধরনা মঞ্চে কুণাল ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি সাংসদ জানান, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে চলছে। এক হাজার দিন ধরে চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন, এখন মনে পড়েছে। সামনে ভোট আছে। তাই ধরনা মঞ্চে গিয়েছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবেন। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২৪ নির্বাচনের জবাব পাবে সরকার। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী অথচ মহিলারা ধরনায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কি করছেন। এটা অন্যায় নয়!
অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকু, সবাই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বড় বড় কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা লড়বেন। বাংলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য যে সাংসদকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে তিনি গোপন পাসওয়ার্ড অন্যজনকে শেয়ার করেছেন এটা দেশের সুরক্ষা ব্যাপার। মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে।