কলকাতা : কসবায় ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের সতর্কবাণী প্রবলভাবে সমালোচিত হল।
সামাজিক মাধ্যমে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের দেওয়া ওই পোস্টে শনিবার ভোর ৫টা ২০ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া এসেছে ১৫৫টি। প্রায় প্রতিটিতেই কড়া সমালোচনা করেছেন নেটনাগরিকরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে পুলিশকে তোপ দেগে প্রতিক্রিয়ার সংখ্যা।
ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, “মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে কিছু ছাত্রীদের এমনভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা দেখে ভুলভাবে অনুমান করা যেতে পারে যে, তাঁরা কসবায় ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার ভুক্তভোগী—এর ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগী ও ভুলভাবে চিহ্নিত হওয়া ছাত্রীদের, উভয়ের মর্যাদায় আঘাত লাগছে।
যৌন নির্যাতনের শিকার কোনও ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এমন যে কোনও আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সমাজকর্মী কৌশিক দত্তগুপ্ত লিখেছেন, “আপনারা ভুলে যাচ্ছেন যাঁরা ভুক্তভুগী তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পরিচয় তুলে ধরছেন সমাজমাধ্যম, মিডিয়ায়। শাসকদল মদতপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেত্রী রাজন্যা হালদারও এই একই পরিস্থিতির শিকার। মেয়েটি নিজের মুখে সমাজমাধ্যমে তা স্বীকার করেছে।
আপনাদের বলবো, আপনারাও একপাক্ষিক মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে আইন ও সত্য প্রতিষ্ঠার পাথেয় হোন। মনে রাখবেন, কলকাতা পুলিশ শুধুমাত্র একটি চাকরি নয়, বরং এক বিরাট দায়িত্ব ও কর্তব্য। ব্যক্তি/শাসক স্বার্থের বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারলে এত পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে এবং সেই আগুনে আপনারা নিজেরাও ভস্মীভূত হবেন। সর্ব সাধারণের মঙ্গল কামনা করি।”
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “অভয়া তথ্য প্রমাণ কে লোপাট করেছিল আগে তার উত্তর দিন , তারপর জ্ঞান দেবেন। নিজেদের খিল্লির পাত্র কেন করছেন? অনুব্রতর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়না? আত্মসম্মানে লাগে না?” বিশ্বজিৎ মাইতি লিখেছেন, “সেতো ঠিকই অন্যায় করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিন সঙ্গে একটু মেরুদন্ডের দিকটাও দেখবেন।”