আর যেন ঘণ্টার হিসেবে অপেক্ষা। শনিবার ফিরছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের বাকি অংশ। এ বারের টুর্নামেন্ট ২৫ মে অবধি চলার কথা ছিল। বৃষ্টি হলে ২৬ মে রিজার্ভ ডে। তবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানা, নিরীহ পর্যটকদের হত্যা দেশে শোকের আবহ ছিল। সেটা যে পুরোপুরি মিটেছে তা নয়। ক্ষোভের আগুন এখনও জ্বলছে। কিছুটা হলেও স্বস্তি সেনার সৌজন্যে। এই জঙ্গি হানার দায় নিয়েছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন। এরপরই অপারেশন সিঁদুরে যোগ্য জবাব দেয় ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। পরিস্থিতি বেকায়দায় বুঝে পিছু হঠেছে পাকিস্তান। সংঘর্ষবিরতি চলছে। তবে ভারতীয় সেনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, সীমান্তে কোনওরকম বেগড়বাই দেখলে বিপদে পড়বে পাকিস্তান।
দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কারণে একঝাঁক বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আইপিএলে খেলা বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কিছুটা ভয়ের পরিবেশও তৈরি হয়েছিল। ধীরে ধীরে সব স্বাভাবিক হচ্ছে। বিভিন্ন দলের বিদেশি প্লেয়াররাও ফিরছেন। নতুন সূচি অনুযায়ী শনিবার বেঙ্গালুরুতে মুখোমুখি হতে চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর একটা জয় মানেই সরকারি ভাবে প্লে-অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সমস্যা বেশ কিছু রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম ক্যাপ্টেন রজত পাতিদারের চোট।
চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচটায় ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন রজত। হাতের আঙুলে গুরুতর চোট রয়েছে। মাঝে বিরতি থাকায় অনেকটাই ফিট হয়ে উঠেছেন। তবে ফিল্ডিংয়ে তাঁকে দেখা যাবে কি না, নিশ্চয়তা নেই। অন্তত আগামী দুটো ম্যাচের জন্য এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতে পারে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ে নামলেন রজত! প্র্যাক্টিসেও তাঁকে ব্যাটিংয়ের সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তার একটা কারণ আইপিএল অবশ্যই, ইংল্যান্ড সফরে ভারত এ দল এবং টেস্ট স্কোয়াডেও জায়গা মিলতে পারে রজতের। ফলে চোট বাড়লে সমস্যাও বাড়বে।
রজত পাতিদার যদি পরবর্তী দুটো ম্যাচে খেলতে না পারেন কিংবা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ের জন্য নামেন? সেক্ষেত্রে বিরাট কোহলিকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যেতেই পারে। যেমনটা গত মরসুমে ফাফ ডুপ্লেসির সময়ও হয়েছিল। চোটের কারণে কয়েক ম্যাচে ডুপ্লেসি শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ে নামছিলেন। বিরাট নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এমনিতেও বিরাট কোহলি মাঠে থাকা মানেই লিডার। ক্যাপ্টেন যেই থাকুক, বিরাটের পরামর্শ মাথা পেতে নেন। এ মরসুমে বিরাট কোহলি নেতৃত্বে ফিরতে পারেন, এমন সম্ভাবনা ছিলই। যদিও বিরাট ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে রজতকেই নেতৃত্বের জন্য এগিয়ে দেন। তবে হাতে গোনা এক-দুটো ম্যাচে তাঁকে নেতৃত্বে দেখা যেতেই পারে। বিরাট একান্তই না চাইলে, কিপার ব্যাটার জীতেশ শর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।