◆ একদিন-এর খবরের জের : স্নেহাশিস-সঞ্জয়দের তৎপরতায় ভাঙল ঘুম সিএবির
অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়
সংবাদমাধ্যমের কাজ হলো ঠিককে ঠিক বলা। ভুল বা খামতি দেখলে তাও তুলে ধরা। ‘একদিন’ সেই কাজটা করতেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। চোখরাঙানি, হুমকি, মামলার পরোয়া করে না। রবিবার (১১ মে, ২০২৫) একদিন-এর খেলার পাতায় তুলে ধরা হয়েছিল সিএবির মিডিয়া ম্যানেজারের বিচিত্র কীর্তি, যার দোসর সিইও চিন্ময়। চিনু-চিত্রদের কাজকর্মে অস্বস্তি বাড়ছিল সিএবির। কিন্তু সিএবিতে সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আছেন, আছেন সঞ্জয় দাস, প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক, প্রদীপ কুমার দে-র মতো বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানেরা যাঁরা সিএবি তথা বাংলার ক্রিকেটের অগ্রগতিতে নিরলস সচেষ্ট। সিএবি কেন ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানাচ্ছে না? কেন রোহিত শর্মার অবসরের ২৪ ঘণ্টা পরেও সিএবির কোনও পোস্ট নেই? কেন লোকাল ক্রিকেটের খবর দেরিতে জানানো হয়? কেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সিএবির সংবর্ধনার খবর যথাসময়ে জানানো হয় না মিডিয়াকে? কেন সিএবির কমিটির চেয়ারম্যানের ছবি পোস্ট করা হয় না নাম থাকা সত্ত্বেও? সেই প্রশ্ন তুলেছিল ‘একদিন’। এরপর দেখা গেল বুদ্ধ পূর্ণিমার সকালে সিএবির ফেসবুক পোস্ট। যাতে দেখা গেল ইডেনে সেনাবাহিনীকে কুর্নিশ জানিয়ে বিরাট ব্যানার। বিলম্বিত বোধোদয়। তবে সম্ভবত সিএবিই দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা, যারা এমন পদক্ষেপ করল। মুহূর্তে তাতে কয়েক হাজার লাইক। প্রচুর শেয়ার। বোঝার অপেক্ষা রাখে না, আয়না দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব পালন করেছে ‘একদিন’। টিম স্নেহাশিসের প্রশংসা প্রাপ্য। সোমবার বিকেলে জানানো হলো, মঙ্গলবারের ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলার খবরও। এই প্রথা না থাকায় সমস্যা হতো সংবাদমাধ্যমের, ক্রিকেটপ্রেমীদের। রোহিত শর্মার সিদ্ধান্তের ৫ দিনের মাথায় টেস্টকে আলবিদা জানালেন কিংবদন্তি বিরাট কোহলি।
তবে কোহলির কপাল ভালো। বিকেলেই তাঁর জন্য পোস্ট সিএবির ফেসবুকে। রোহিতের মতো পরদিন নয়। এই তৎপরতাই চায় সকলে। সামান্য ব্যাকরণগত ত্রুটি এ ক্ষেত্রে বড় নয়। তবে মিডিয়া ম্যানেজার বিচিত্রর ঘুম কি পুরো ভাঙল? না। বিরাটকে নিয়ে গোল গোল বন্দনা। দেখলে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, আদৌ তার এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কিনা! তিনি ভুলেই গেলেন এই ইডেনেই বিরাট কোহলি অধিনায়ক হিসেবে শেষ টেস্ট শতরান হাঁকিয়েছেন।
সেটি ঐতিহাসিক। কারণ, তার আগে বা পরে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টে ভারতের কেউ আর শতরান পাননি। বিচিত্র, পেটোয়া লোকজনদের নিয়ে সিএবির ঘরের দরজা এঁটে আইপিএলের সময় বৈঠক না করে ইডেন, সিএবি সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা থাকলে বাংলার ক্রিকেটপ্রমীদের ভাল লাগত এ’কথা জনগণেরই। বিচিত্র কাজকর্মের জন্য স্বেচ্ছাশ্রম নয়, মাস গেলে গাঁটের কড়ি খরচ হয় সিএবির। দিতে হয় বেতন। তা কি শুধু ভষ্মে ঘি ঢালা! কালিমালিপ্ত মিডিয়া ম্যানেজারকে নিয়ে অসন্তোষ সিএবির এজিএমে উঠলে অস্বস্তি বাড়বে বই কমবে না। তাতে নাম ডুববে সিএবি’রই।