ফুটবলে ঘরের মাঠে ১৫ ম্যাচ পর হার ভারতের

ঘরের মাঠে অপরাজিত দৌড় থামল ভারতের। এ বছর দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন সুনীল ছেত্রীরা। ঘরের মাঠে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন। যদিও বিদেশে পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। ঘরের মাঠে ১৫ ম্যাচ অপরাজিত ছিল ভারত। অপরাজিত তকমা ধরে রাখা গেল না। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে কুয়েতকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ভারত। অ্যাওয়ে ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিল ব্লু টাইগার্স। যদিও ঘরের মাঠে শক্তিশালী কাতারের বিরুদ্ধে পেরে উঠল না ভারত। বিশ্বকাপ খেলা কাতারের কাছে ০-৩ ব্য়বধানে হার সুনীলদের।

ম্যাচের ২ মিনিটের মধ্যেই গোলের সুযোগ পায় কাতার। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ভারত। কাতারের কার্লোস কুইরোজ মাথায় হাত দেন হতাশায়। ৪ মিনিটের মধ্যেই গোল। অনিরুদ্ধ থাপার ভুল বোঝাবুঝিতে বল পান মুস্তাফা মাশাল। বক্সের মধ্যে এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি মুস্তাফা। জাতীয় দলের জার্সিতে তাঁর প্রথম গোল। গ্যালারিতে ছেত্রী…ছেত্রী ধ্বনি। ভারতীয় দলকে তাতাতে কোনও ত্রুটি রাখেননি ঘরের মাঠের সমর্থকরা।

এয়ারে বল থাকায় হেড করেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। কাতারের ২৩ নম্বর জার্সির প্লেয়ারও ঝাঁপিয়েছিলেন। ১৫ মিনিটে সন্দেশকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়ে। ম্যাচে উপস্থিত কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। তাঁর সামনে অনবদ্য পারফরম্যান্সেই লক্ষ্য ছিল। ১৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে কাতারের একটি শট অনবদ্য ক্লিয়ার করেন সন্দেশ। ৩৫ মিনিটে গোলের অনবদ্য একটা বিল্ড আপ ভারতীয় আক্রমণ ভাগের। যদিও গোলে শটই রাখা গেল না। প্রথমার্ধের শেষে মুহূর্তে অনবদ্য একটা সুযোগ। সুনীল ছেত্রীর পাস অনিরুদ্ধ থাপার জমি ঘেসা শট। গোলে রাখতে পারলে হয়তো স্কোর লাইন ১-১ হতে পারতো। যদিও ভারতের ৭ নম্বর জার্সির শট বাইরে।

বিরতিতে আর্সেন ওয়েঙ্গার বলেন, ‘প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে প্রচুর জায়গা দিয়েছে ভারত। সেটাই কমাতে হবে।’ যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও একটি গোল খায় ভারত। সেখানেই কার্যত ম্যাচের ভবিষ্যৎ পরিষ্কার হয়ে যায়। পরিবর্ত হিসেবে নামা ইউসুফ আবদুরিসাগ নির্ধারিত সময়ের ৫ মিনিট আগে তৃতীয় গোলটি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =