বড় ধাক্কা খেলেন হিজাবের পক্ষে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয়, রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। খারিজ হয়ে গেল হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া সমস্ত পিটিশন। এর ফলে হাই কোর্টে জয় হল রাজ্য সরকারেরই।
গোলমালের আশঙ্কা করে কর্নাটক সরকার এক সপ্তাহের জন্য বেঙ্গালুরু শহরে বড় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরুতেও ১৫ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ সমস্ত বড় জমায়েত। হিজাব বিতর্কের ভরকেন্দ্র উদুপিতে মঙ্গলবার বন্ধ সমস্ত স্কুল, কলেজ।
Prescription of school uniform is a reasonable restriction which student could not object to, Karnataka High Court said while pronouncing judgment in Hijab row case
— ANI (@ANI) March 15, 2022
কর্নাটক (Karnataka) সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই সে রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। লাগাতার প্রতিবাদের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্নাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা যাবে না, এই মর্মেই একাধিক মামলা করা হয়েছিল। সরব হয় বিরোধী দলগুলিও। সেই মামলাতেই আজ কর্নাটক হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিল যে হিজাব ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকতেই পারে।
Karnataka High Court dismisses petitions filed by Muslim girls seeking permission to wear hijab in classroom.#KarnatakaHijabRow https://t.co/rg5RXIJcmG
— The Telegraph (@ttindia) March 15, 2022
হিজাব বিতর্কে (Hijab Controversy) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত মতামত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক নয়, ইউনিফর্ম পরাই বাঞ্ছনীয়। তবে সেসময় বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারাধীন। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা তিনি মেনে নেবেন। এবার দেখা গেল কর্নাটকের বিজেপি সরকারের পক্ষেই রায় দিল হাইকোর্ট।