রেকর্ড গড়ে ‘প্রথম’ বার জয়ের হ্যাটট্রিক, নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিল কেকেআর

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুমে অপরাজিত তকমা ধরে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। জয়ের হ্যাটট্রিকে মরসুম শুরু। ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পরপর অ্যাওয়ে ম্যাচ। চিন্নাস্বামীতে গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে সহজেই হারিয়েছিল কেকেআর। নজর ছিল হ্যাটট্রিকে। বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে সেই লক্ষ্যও পূরণ করল কেকেআর।

টিম গেমের চেয়ে বড় কিছু হয় না। কলকাতা নাইট রাইডার্স অনবদ্য টিম গেমের উদাহরণ দিল। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো হয় বৈভব অরোরাকে। গত মরসুমেই কেকেআর জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল বৈভবের। ইমপ্যাক্ট রাখলেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তিনি। তার আগে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন কেকেআরের অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। ভুললে চলবে না আন্দ্রে রাসেল ও অঙ্গকৃশের ব্যাটিংও।

সুনীল নারিনের ৮৫, অঙ্গকৃশের হাফসেঞ্চুরি, রাসেল ঝড়, রিঙ্কুর ক্যামিও। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ২৭২ রান তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বাধিক স্কোর। এত বড় রান তাড়া করা সহজ ছিল না। তবে ডিফেন্ড করতে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে ছিল কলকাতা। গত দুই ম্যাচেই নজরকাড়া বোলিং করেছেন হর্ষিত রানা। এ দিনও একাদশে ছিলেন। কিন্তু নামতে পারেননি।

কলকাতা শিবিরে বড় স্বস্তি হতে পারে মিচেল স্টার্কের উইকেট পাওয়া। প্রায় ২৫ কোটিতে নেওয়া হয়েছে স্টার্ককে। প্রথম দু-ম্যাচে ৮ ওভারে ১০০ রান দিয়েছেন। দিল্লির বিরুদ্ধে অবশেষে উইকেটের খাতা খুললেন। তিন ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট স্টার্কের ঝুলিতে। বিশাল রান তাড়ায় ঋষভ পন্থ হাফসেঞ্চুরি করলেও পরপর উইকেট হারানোয় দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছিল দিল্লি। ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় কেকেআরের। জয়ের হ্যাটট্রিকে শীর্ষস্থানও দখল করল। এই ম্যাচের আগে কেকেআরের নেট রান রেট ছিল +১.০৪৭। এ দিনের জয়ে বেড়ে দাঁড়াল +২.৫১৮।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fourteen =