পয়েন্ট টেবল পরিবর্তন হয়নি। শীর্ষ স্থানেই রয়েছে গুজরাট টাইটান্স। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটান্স যদি লিগের শেষ দুটো ম্যাচ জিতত, শীর্ষ স্থান নিশ্চিত ছিল। এর জন্য আগে ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে জিততে হত। সেটাই হল না। গুজরাট টাইটান্সের ঘরের মাঠ হাইস্কোরিং ভেনু। সেখানে টস জিতে ফিল্ডিং, রান তাড়ার সিদ্ধান্ত সবই ঠিক মনে হচ্ছিল। কিন্তু জয় এল না। স্লগ ওভারে অনবদ্য বোলিং লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ৩৩ রানের জয়। স্বস্তির একটা জয়ের পাশাপাশি টেবল টপারদের হারানোর উচ্ছ্বাস। সঙ্গে যেন আক্ষেপও। গত ম্যাচটা জিতলে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকত লখনউও।
আপাতত ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে গুজরাট টাইটান্স। তাদের আর একটা ম্যাচ বাকি। অর্থাৎ সর্বাধিক ২০ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে তারা। তাতে অবশ্য শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত নয়। আরসিবি এবং পঞ্জাব কিংসের ১৭ পয়েন্ট করে রয়েছে। হাতে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। তারা যদি নিজেদের দুটো ম্যাচই জেতে সর্বাধিক ২১ পয়েন্টে পৌঁছবে। ফলে টপ টু হাতছাড়া হবে গুজরাটের। পঞ্জাব কিংবা আরসিবির মধ্যে একটা টিম হারলে হবেই শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারবে গুজরাট। এর জন্য নিজেদের শেষ ম্যাচে চেন্নাইকেও হারাতে হবে।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে লখনউ। দুই ওপেনার এইডেন মার্কব়্যাম ও মিচেল মার্শ শুরুটা দুর্দান্ত করেন। ৯১ রানে জুটি ভাঙে। তাতে অবশ্য় রানের গতি কমেনি। মিচেল মার্শ আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। ৬৪ বলে ১১৭ রানে ফেরেন তিনি। তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরান ২৭ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মরসুমে এই প্রথম কোনও ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী দেখাল ঋষভ পন্থকেও। ৬ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন পন্থ। এর মধ্যে দুটি ছয়। যার একটি দুর্দান্ত শট। শেষ অবধি টাইটান্সকে ২৩৬ রানের বিশাল টার্গেট দেয় লখনউ।
গুজরাট টাইটান্স ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি টপ থ্রি। মিডল অর্ডার সেভাবে পরীক্ষার সামনেই পড়েনি। এ দিন অবশ্য ঝড় শুরু হলেও দীর্ঘস্থায়ী হল না। সাই সুদর্শন ১৬ বলে ২১ রানে ফেরেন। ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ২০ বলে ৩৫। তিনে নামা বাটলার ১৮ বলে ৩৩ করেন। তবে শেরফান রাদারফোর্ড এবং শাহরুখ খান যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন, জয়ের আশা তখনও গুজরাট শিবিরে। কিন্তু দুটো ডাবল উইকেটের ওভার যাবতীয় আশা শেষ করে দেয়। রাদারফোর্ড ফিরতেই চাপ বাড়ে। শাহরুখও ২৯ বলে ৫৭ রানে ফেরেন। গুজরাটের প্রাপ্তি বলতে, মিডল অর্ডারের পরীক্ষা হল।