ভারত-ইংল্য়ান্ড সিরিজের ফয়সালা আগেই হয়েছিল। শেষ অবধি স্কোর লাইন কী হয়, সে দিকেই নজর ছিল। মুম্বইতে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের দাপট। তবে এমন একতরফা জয় আসবে, এটা হয়তো প্রত্যাশিত ছিল না। ভারতের সামনে কার্যত মাথানত করল ইংল্যান্ড। অভিষেক শর্মা একাই করেছিলেন ১৩৫ রান। তাঁর দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে ইংল্যান্ডকে ২৪৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। কিন্তু পেস হোক বা স্পিন, সবেতেই অস্বস্তিতে পড়লেন ইংল্যান্ড ব্যাটাররা। রাজকোটে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল সামির। মুম্বইতে নিলেন তিন উইকেট। ইংল্য়ান্ড শেষ ৯৭ রানেই। ১৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ভারতের।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক। অভিষেক শর্মার তাণ্ডব, সঙ্গে শিবম, সঞ্জুদের ছোট ছোট ইনিংস। ইংল্যান্ডের সামনে ২৪৮ রানের বড় টার্গেট। ইংল্যান্ড অবশ্য বাজবলে বিশ্বাসী। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম টেস্টের পাশাপাশি এখন সাদা বলেও ইংল্যান্ডের কোচ। বিধ্বংসী ক্রিকেটেরই বার্তা দিয়ে এসেছে ইংল্যান্ড। কাজের ক্ষেত্রে তা হয়নি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম ব্রেক থ্রু সামির সৌজন্যে। একদিকে ফিল সল্ট কিছুটা ভরসা দিলেন। কিন্তু উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট।
সামি-হার্দিক নতুন বলে শুরুর পর আক্রমণে আনা হয় বরুণ চক্রবর্তীকে। এই সিরিজে ভারতের অন্যতম সফল বোলার। এ দিনও ২ উইকেট নিলেন বরুণ। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংসের পর বোলিংয়ে ১ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ২ উইকেট অভিষেক শর্মার। এ ছাড়াও দুটি উইকেট নিয়েছেন শিবম দুবে। ইংল্য়ান্ডের শেষ দুটি উইকেট নিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন সামি। সব মিলিয়ে তাঁর তিন উইকেট। ৯৭ রানেই অলআউট ইংল্য়ান্ড। রানের নিরিখে এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। টি-টোয়েন্টিতে ৪-১ ব্যবধানে জিতল ভারত। এ বার ওয়ান ডে সিরিজে নজর।