অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সংস্করণ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নেমেছিল ভারত। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে সব ম্যাচ জিতেছে। খেতাবও ধরে রাখল। টানা দ্বিতীয় বার বিশ্বসেরা ভারতের মেয়েরা। টুর্নামেন্টের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারাল ভারত। প্রথম বার ফাইনালে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকা কোনও ভাবেই ভারতকে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলতে পারেনি। টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন গোঙ্গারি তৃষা। ফাইনালের মঞ্চে বোলিংয়েও দাপট। ম্যাচ এবং টুর্নামেন্টে সেরার পুরস্কারও জিতে নিলেন তৃষাই।
দক্ষিণ আফ্রিকাও দুর্দান্ত খেলেছে এ বারের বিশ্বকাপে। ফাইনালে অবশ্য ডিফেন্ডিং চ্য়াম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ছাপ ফেলতে পারেনি। বিশ্বকাপে ভারতের মূল শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল বোলিং। ব্যাটারদের সেই অর্থে সুযোগই মেলেনি। ফাইনালেও বোলিং দাপট। দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এটাই তাদের কাছে সবচেয়ে বড় ভুল হয়ে দাঁড়ায়। দুই পেসার শবনম ও পারুনিকা সিসোদিয়া মিলে তিন উইকেট নেন। মূল দাপট স্পিনারদের।
বিশ্বকাপেই অভিষেক করা বৈষ্ণবী শর্মা তাক লাগানো পারফর্ম করছিলেন। এক ম্যাচে হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ উইকেটও নিয়েছিলেন। ফাইনালে নিলেন ২ উইকেট। ভারতের ওপেনার গোঙ্গারি তৃষা বল হাতে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শেষ মাত্র ৮২ রানেই।
ট্রফি জিততে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮৩ রান। কমলিনী ৮ রানে ফেরেন। আর এক ওপেনার গোঙ্গারি তৃষা ৩৩ বলে ৪৪ এবং সানিকা চালকে ২২ বলে ২৬ রান করেন। ১১.২ ওভারেই লক্ষ্য পূরণ ভারতের। ৯ উইকেটের জয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।