সপ্তাহখানেক আগেও পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে ছিল গুজরাট টাইটান্স। পয়েন্ট টেবলে তারা প্রথম দুইয়ে শেষ করবে, এমন পরিস্থিতিই ছিল। যদিও লিগ পর্বের শেষ দুটো ম্যাচে হার। এলিমিনেটরে নামতে হয়। পরিষ্কার হিসেব, হারলে বিদায়। জিতলে খেলতে হত দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে দুর্দান্ত খেললেও গত কয়েকটি ম্যাচের পারফরম্যান্স হতাশ করার মতোই। এলিমিনেটরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলের বিরুদ্ধে একঝাঁক ক্যাচ মিস। বোর্ডে ২২৯ রানের টার্গেট। এরপরও ম্যাচে ছিল টাইটান্স। যদিও জসপ্রীত বুমরা এবং বাকিদের দুর্দান্ত বোলিং। রেকর্ড রান তাড়া করতে ব্যর্থ টাইটান্স। রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
প্লে-অফের প্রথম ম্যাচ অর্থাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ার হয়েছিল এই মাঠেই। যদিও এলিমিনেটর ম্যাচে পিচ পুরোপুরি আলাদা। পাটা পিচ। এখানে বোলারদের ভালো পারফরম্যান্স জরুরি। এর জন্য সঙ্গ দিতে হত ফিল্ডারদেরও। দু-বার রোহিতের ক্যাচ ফসকায় গুজরাট টাইটান্স। সেই রোহিত শর্মা ৮১ রানের ইনিংস খেলেন। আর এক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো করেন ২২ বলে ৪৭। সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচও মিস হয়। একঝাঁক ক্যাচ মিসের পর বোর্ডে বড় স্কোর হবে, এটাই স্বাভাবিক। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২২৮ রান তোলে। এই মাঠে যা সর্বাধিক।
এ বারের আইপিএলে টিকে থাকতে হলে রেকর্ড রান তাড়া করতে হত। শুরুতেই শুভমন গিলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইটান্স। কিন্তু সাই সুদর্শন-কুশল মেন্ডিস জুটি পরিস্থিতি ঠিকই রেখেছিল। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হিট উইকেট হন কুশল। সাইয়ের সঙ্গে যোগ দেন ওয়াশিংটন সুন্দর। সাইয়ের সঙ্গে সেঞ্চুরি প্লাস পার্টনারশিপ। কিন্তু জসপ্রীত বুমরার ইয়র্কারে ওয়াশিংটনের উইকেট। সাই সুদর্শন লুজ শট খেলে বোল্টের শিকার। স্লগ ওভারে চাপ নিতে পারেনি টাইটান্স। শেষ অবধি ২০ রানে জয় মুম্বইয়ের।