নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: যতদিন না এই সরকারটা ভেঙে পড়ছে, ততদিনই নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। কাটমানি খেয়ে, ঘুষ দিয়ে পুরাতন বাড়িগুলিতে মানুষকে রেখে তাঁদের জীবন সঙ্কটে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার দায় কে নেবে, কটা টাকা দিলেই সব হয়ে যাবে। এই সরকারের হাতে কিছু নাই, এরা কিছু করতে পারবে না। এই ভাবে চলবে। কলকাতায় ফের নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
রবিবাসরীয় সকালে দৈনন্দিন কর্মসূচির মতোই বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে প্রাতর্ভ্রমণে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। মোহনবাগান মাঠ থেকে তিনি চলে যান গোলাপবাগের বিধান চন্দ্র রায়ের স্ট্যাচুর কাছে। সেখানে মাল্যদান করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ে করেন। এরপর তিনি শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে যান। সেখানে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের পাশাপাশি পুরনো আরএসএস কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এরপর রাজবাড়ির লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে যান দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে আসার পথে রাজবাড়ির সামনে রাজার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তারপর তিনি সোনাপট্টির বটতলায় চায়ে পে চর্চার আসরে অংশ নেন। দিলীপ ঘোষকে হারানোর জন্য তৃণমূলের কাছে বিজেপির পক্ষ থেকে বার্তা গিয়েছে বলে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপবাবু কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘কুণাল ঘোষ আগে তৃণমূল পার্টিটা নিয়ে চিন্তা করুক। তৃণমূলটা উঠে যেতে চলেছে, এবার উনি কোন পার্টিতে জয়েন করবেন তা ঠিক করুক। ওনার অবস্থা এখন গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়লের মতো, বিজেপিকে নিয়ে সারা দেশ ভাবছে।’
দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে ওনারা কিছু করতে পারে নাই, অন্যরাও কিছু করে উঠতে পারবে না বলে দাবি করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি এত দিন প্রচারে নামেননি কেন। ওনার মাথার স্টিকারটা কবে খুলবেন, ভোটের আগে না শেষ হওয়ার পর। ভোটের আগে চোট, এটাই ভোটের রেসিপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।