ইউনেস্কো-র তরফে বাংলার ঐতিহ্য দুর্গাপুজোকে দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ তকমা

বাংলার ঐতিহ্য দুর্গাপুজো। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে । ইউনেস্কো-র তরফে দুর্গাপুজোকে দেওয়া হয়েছে হেরিটেজ তকমা। শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে এবার শিল্পপতিদের বাংলার সেই দুর্গাপুজো দেখাপর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে যে কত মানুষের কর্মসংস্থান হয় সেটা তাঁরা দেখতে পাবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দুর্গাপুজো এবার এলাহি আয়োজনে করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিন মাস আগে থেকেই পুজোর তোরজোর শুরু হয়ে যাবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”কলকাতাই সেরা। সেরার সেরা হতে হবে কলকাতাকে। হেরিটেজের জন্য আমরা সেলিব্রেশন করব। আগামী বছর দুর্গাপুজোর ১০ দিন আগে থেকে শুরু হবে সেলিব্রেশন।

২০১৯-এ ব্রিটিশ কাউন্সিল তাদের এক সমীক্ষা রিপোর্টে জানায়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বছরের কয়েকটি মাসে ৩২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এর মধ্যে শুধু জামা-কাপড়েই ব্যবসা হয় প্রায় ২৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার। এরপরেই আছে খাবারদাবারের ব্যবসা। ওই খাতে ব্যবসা হয় ২৮০০ কোটির কিছু বেশি টাকার। প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা এবং অন্যান্য শিল্পকর্মে খরচ হয় ৮০০ কোটি টাকা। ওই সমীক্ষার মূল উদ্যোগ ছিল রাজ্যের পর্যটন দফতরের। তারা এই উৎসবকে আগেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা শুরু করেছে।

বিগত কয়েক বছর যাবৎ দুর্গাপুজোয় বিদেশি পর্যটকের কলকাতায় আসা বেড়েছে।সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকার চাইছে জামাকাপড়ের শিল্পের সিংহভাগ বাংলার হাতে থাক। পুজোর জামা কাপড়ের অনেকটাই ভিন্ন রাজ্য থেকে আসে। ফলে রেডিমেড গারমেন্টস, শাড়ি, হোশিয়ারি শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। আর বাংলায় বিনিয়োগের হাত ধরে গোটা পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যবসার দুয়ার খুলে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − seven =