ইংল্যান্ড সফরের শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। ব্যক্তিগত ভাবে পারফরম্যান্স খুবই ভালো ছিল। লিডস টেস্টে ভারতের মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনও টিম পাঁচটি সেঞ্চুরির পর ম্যাচ হারেনি। ভারত সেই লজ্জার রেকর্ডেই নাম লিখিয়েছে। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে এখনও অবধি অ্যাডভান্টেজ ভারত। তবে সেশন অনুযায়ী যেভাবে ভারতীয় দল খেই হারিয়েছে, তাতে এখনই ভরসা করা কঠিন। ম্যাচের তৃতীয় দিন সিরাজ, আকাশ দীপ বোলিংয়ে মান রাখলেন। তেমনই দেখা গেল ডিআরএস বিতর্কও।
এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের ২৬৯ রানের বিরাট স্কোরের সৌজন্যে ৫৮৭ করেছে ভারত। জবাবে ৮৪ রানেই ইংল্যান্ডের ৫ উইকেট তুলে নিলেও বিশাল লিড এল না। ৩০৩ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েন হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। ভারতের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই জুটি ভেঙে স্বস্তি দেন আকাশ দীপ। সব মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে চার উইকেট। মহম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ছয় উইকেট। কিন্তু লিড যেখানে ৩০০ প্লাসের প্রত্যাশা করা হয়েছিল, মিলেছে মাত্র ১৮০। পরিস্থিতির নিরিখে মাত্র বলতেই হয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। সতর্ক ব্যাটিং করছিলেন লোকেশ রাহুল। উল্টোদিকে যশস্বী জয়সওয়ালের পরিচিত জ্যাজবল। একের এক বাউন্ডারি যশস্বীর। কিন্তু ২২ বলে ২৮ রানেই শেষ তাঁর ইনিংস। আর এই আউটেই ডিআরএস বিতর্ক। অনফিল্ড আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফউদদুল্লা আউট দেন। যশস্বী শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন। ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন প্রতিবাদ করেন। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পর রিভিউ কেন অনুমতি দিল আম্পায়ার! বেন স্টোকসের প্রতিবাদ অবশ্য কাজে দেয়নি।
নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে রিভিউ নিতে হয়। ১০ সেকেন্ড পেরিয়ে গেলে আম্পায়ার নিজেও অ্যালার্ট করেন যে আর ৫ সেকেন্ড বাকি। এক্ষেত্রে শরফউদদুল্লা তা মিস করেন বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে যশস্বীর রিভিউতে সায় দেন। যদিও রিভিউও কাজে দেয়নি যশস্বীর। তৃতীয় দিনের শেষে ১ উইকেটে ৬৪ রান তুলে নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে লিড ২৪৪ রানের।