আচমকা ইস্তফা দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। এক লাইনের চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজ্যপালকে। বিপ্লব কেন এমন ভাবে পদ ছেড়ে দিলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ত্রিপুরার রাজনীতিতেও নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। একটি সূত্রের দাবি, তাঁকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল। তবে এই খবরের আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি।
Tripura CM Biplab Kumar Deb says has submitted resignation to governor
— Press Trust of India (@PTI_News) May 14, 2022
২০১৮ সালে ত্রিপুরায় দখলের পরেই বিপ্লবকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি নেতৃত্ব। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন জিষ্ণুদেব বর্মা। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার এত আগে কেন ইস্তফা দিলেন, তার নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে বিপ্লবের কথায় এমন ইঙ্গিত মিলেছে যে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফার চিঠি রাজ্যপালকে জমা দেওয়ার পরে বিপ্লব যা বলেন তাতেও তেমন ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি বলেন, ‘দল আমাকে যেখানে যে কাজের জন্য ভাববে, আমি তাতেই রাজি।’ সরাসরি বিপ্লব কিছু না জানালেও বিজেপি সূত্রে খবর, ইস্তফার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। শুক্রবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পর নিজেই টুইট করেছিলেন বিপ্লব। আগামী দিনে দল তাঁকে বিজেপি সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করবে বলেও দাবি করেছেন বিপ্লব।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Kumar Deb) আকস্মিক ইস্তফায় সেরাজ্যের রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিপ্লবের ইস্তফায় খানিকটা চমকে গিয়েছে বিরোধী শিবিরও। এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীবাজির শিকার হলেন বিপ্লব। তাছাড়া, ত্রিপুরার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন বলে এতদিন ধরে যে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) করে আসছিল, সেটাই প্রমাণিত হল বিপ্লবের ইস্তফায়।
অন্যদিকে বিপ্লব দেব ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রিপুরা বিজেপিতে পরের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এগিয়ে রয়েছেন দু’জন। উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাকেই বেছে নিতে পারে বিজেপি। তবে কেউ কেউ ভাবছেন যিষ্ণুকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হতে পারে রাজ্য বিজেপি সভাপতি মানিক সাহাকে।