নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ফের গন্ধেশ্বরী নদীর বুকে নির্মাণকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হল বাঁকুড়ায়। সম্প্রতি নদী খাতের মধ্যে বেশ কয়েকটি সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে। এই পাঁচিল তৈরির কাজে নাম জড়িয়েছে শাসকদলের এক শ্রমিক নেতারও। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে একাধিক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। ওই নির্মাণ নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ করতে পারে এই দাবি করে আপাতত কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সেচ দফতর। অভিযুক্ত তৃণমূল শ্রমিক নেতার দাবি, নদীর জায়গায় নয়, নির্মাণ করা হয়েছে ব্যক্তিগত জায়গায়।
বাঁকুড়া শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। অভিযোগ, দশকের পর দশক ধরে এই নদীর ওপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে বাঁকুড়া শহরের মানুষ। লাগাতার সেই অত্যাচার ও সরকারি বঞ্চনায় গন্ধেশ্বরী নদী এখন কার্যত মজা নালায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু বর্ষা এলেই সেই নদী বইতে শুরু করে দুকূল ছাপিয়ে। গত কয়েক বছর ধরে বর্ষায় একের পর এক গন্ধেশ্বরী নদীর ভয়াল বন্যার রূপ দেখেছে বাঁকুড়া। কিন্তু তারপরও অবস্থার বদল হয়নি বলে দাবি।
সম্প্রতি সেই নদীর বুকেই একাধিক নির্মাণ কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ। আর সেই নির্মাণগুলিকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা যুবরাজ মিশ্র সহ মোট ১২ জন যুক্ত রয়েছেন এই নির্মাণগুলির সঙ্গে। শহরের পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, এই নির্মাণগুলি আসলে নদীর গতিপথকেই রুদ্ধ করবে। সম্প্রতি সেই একই দাবি করে আপাতত নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সেচ ও জলপথ দপ্তর।
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল শ্রমিক নেতার দাবি, ওই জায়গার মালিকানা তাঁদের। নদীর পাড়ের সেই অংশ জলস্রোতে ক্ষয়ে যাওয়াতে নদীগর্ভ বলে মনে হলেও আসলে তা নয়। নিজের জায়গাতেই তাঁরা নির্মাণকাজ করছেন। বাঁকুড়া পুরসভার দাবি, অভিযুক্ত যে দলই করুন না কেন আইন সকলের জন্য সমান। পুরসভার তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরই সেচ দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।