কাকদ্বীপ : ইলিশের মরশুমের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেল একটি মৎস্যজীবী ট্রলার। অন্যান্য ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারের ১১ জন মৎস্যজীবী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি কাটিয়ে শনিবার নামখানার দশ মাইলের খেয়াঘাট থেকে এফ বি শাকিলা নামে একটি ট্রলার ১১ জন মৎস্যজীবী নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য পাড়ি দিয়েছিল। জম্বু দ্বীপের কাছে মাছ ধরার সময় হঠাৎই সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটির নিচের পাঠাতন ফেটে যায়। পাঠাতন ফেটে গিয়ে ট্রলারে ভিতর জল ঢুকতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে ট্রলারটি সমুদ্রের ডুবে যেতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুরু করেন। মৎস্যজীবীদের চিৎকারে সাহায্যের জন্য ছুটে আসে আশেপাশের অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলাররা। অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলারের সহযোগিতায় ডুবন্ত ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবন মৎস্যজীবী ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জন্য মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য দপ্তর।
মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গভীর সমুদ্রে পুনরায় মাছ ধরার জন্য পাড়ি দিয়েছে মৎস্যজীবীর ট্রলার গুলি। শনিবার নামখানার খেয়াঘাট থেকে এফবি শাকিলা নামে একটি ট্রলার মাছ ধরার জন্য গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউ এর কারণে জম্বু দ্বীপের কাছে ট্রলারটির পাটাতন ফেটে গিয়ে ট্রলারটি মধ্যে জল ঢুকতে থাকে এরপর সাহায্যের জন্য ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুরু করে। মৎস্যজীবীদের চিৎকারে সাহায্যের জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলার।
অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলারের সহযোগিতায় নিরাপদে ১১ জন মৎস্যজীবীদের উদ্ধার সম্ভব হয়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের চিকিৎসা করানোর জন্য উপকূলে নিয়ে আসা হচ্ছে পাশাপাশি ডুবন্ত ট্রলারটিকেও অন্য ট্রলারের সাহায্যে উপকূলের নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আর মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ট্রলার ডোবার মুহূর্তের ভিডিও।