অবিশ্বাস্য জয়ে টপ টু, আরসিবির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার নজির

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধিক। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ইতিহাসে সর্বাধিক। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে রেকর্ড গড়ে পয়েন্ট টেবলে টপ টু ফিনিশ করল আরসিবি। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খেলবে টপার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, আরসিবির জয়ে তৃতীয় স্থানে শেষ করল গুজরাট টাইটান্স। এলিমিনেটর ম্যাচে খেলবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও গুজরাট টাইটান্স। আরসিবির ইতিহাসে চেজমাস্টার বিরাট কোহলিই শুধু নন, বড় অবদান রাখলেন স্টপগ্যাপ ক্যাপ্টেন জীতেশ শর্মা।

ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে দীর্ঘ সময় ধরেই অন্যতম ফিনিশার মনে করা হচ্ছিল জীতেশ শর্মাকে। যদিও সীমিত সুযোগ পেয়েছেন। আইপিএলের মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে আরও সুযোগ আসবে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে তেমনই একটা ইনিংস খেললেন। আইপিএলে এর আগে মাত্র ২ বার ২০০ প্লাস রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল আরসিবির। তৃতীয় বার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর তাড়া করলেন বিরাট কোহলিরা।

ম্যাচকে অবশ্য দুটো ভাগ করা যায়। প্রথম ইনিংস অর্থাৎ লখনউ ব্যাটিং পুরোপুরি ঋষভ পন্থ কেন্দ্রীক। আইপিএল কেরিয়ারে দ্বিতীয় এবং মরসুমের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরিতে স্মরণীয় করে রাখলেন ঋষভ পন্থ। মিচেল মার্শের যোগ্য সহায়তা। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে লখনউ। ক্যাপ্টেন পন্থ ৬১ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

রান তাড়ায় আরসিবির মূল ভরসা ছিলেন বিরাট কোহলি। চেজমাস্টার এমনিই বলা হয় না তাঁকে। বছরের পর বছর তা প্রমাণ করেছেন। এই ম্যাচেও ২২৮ রান তাড়ায় নেমে ৩০ বলে ৫৪ করেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি ফিরতেই সাময়ির ভাঙন। রজত পাতিদার ৭ বলে ১৪ এবং লিয়াম লিভিংস্টোন গোল্ডেন ডাক! পরিসংখ্যানের মতো আরসিবির পরিস্থিতিও আতঙ্কের ছিল। এর মধ্যেই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও স্টপগ্যাপ ক্যাপ্টেন জীতেশ শর্মা। মায়াঙ্ক ২৩ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্য দিকে, জীতেশ ৩৩ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ১৮.৪ ওভারেই ৬ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 6 =