ইউক্রেনে (Ukraine) স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধারে মাত্র ন’ঘণ্টার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুশ সেনা। রবিবার এই সিদ্ধান্ত জানানোর পরেও ইউক্রেনকে আবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান তখনই বন্ধ হবে, যখন তাঁদের সমস্ত শর্ত পূরণ হবে।
তিনি জানান, ক্রেমলিনের দাবি পূরণ হোক, তবে কিভ আক্রমণ বন্ধের ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা হবে। রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে টেলিফোন বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনের তরফে আলোচনার লক্ষ্য আরও গঠনমূলক হওয়া উচিত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুতিন এও বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ীই ইউক্রেনে ‘বিশেষ অপারেশন’ চালাচ্ছে রাশিয়া(Russia)।
অন্যদিকে, রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন করায় হাজারের বেশি প্রতিবাদীকে আটক করা হয়েছে। এঁরা সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন যুদ্ধবিরোধী পোস্ট এবং ভিডিও পোস্ট করতেন বলে জানিয়েছে রাশিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা।
ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধের গুরুগুরু দামামার মাঝে ভারত ও বন্ধুদেশগুলির আবেদন মেনে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া (Russia)। শনিবার ভারতীয় সময় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি ছিল। কিন্তু বিপর্যস্ত দেশটি থেকে অনেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এত সংক্ষিপ্ত সময়ে। তাই রবিবার দ্বিতীয় দফায় ফের যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) ঘোষণা করে পুতিন প্রশাসন। মারিওপোল, ভলনোভাখা – এই দুই শহরে আড়াই ঘণ্টা উদ্ধারকাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত নির্ধারিত সময়। এর মধ্যে এই দুই শহরে আটকে থাকা মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরাতে শুরু করে জেলেনস্কি প্রশাসন।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি আবার সাধারণ রুশ নাগরিককে যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ তোলার আবেদন করেছেন। তিনি জানান, যুদ্ধের ফলে শুরু হবে দারিদ্র এবং সঙ্কট। তাতে দুই দেশই প্রভাবিত হবে। তাঁর কথায়, ‘রাশিয়ার নাগরিকবৃন্দ! এই আন্দোলন কেবল ইউক্রেনে শান্তির জন্য নয়। এটা আপনাদের দেশের জন্যও লড়াই। এখনও যদি আপনারা নীরব থাকেন, শুধু দারিদ্রই পরে কথা বলবে। নেমে আসবে নিপীড়ন।’