ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা বাতিলকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা পাক সুপ্রিম কোর্টের

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব (No Confidence Motion) খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক বলল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট (Pakistan Supreme Court)। বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থ দিনের শুনানির পর প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত পাক সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

পাঁচ বিচারপতি বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছেন, পাক সংবিধানের ৯৫ নম্বরপ ধারা অনুযায়ী, এক বার প্রক্রিয়া শুরুর পরে আস্থা বা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি কেউ ঠেকাতে পারেন না। স্পিকার বা প্রেসিডেন্টও নন। আর যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে, তিনি প্রেসিডেন্টকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সুপারিশও করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তাই ডেপুটি স্পিকারের পদক্ষেপ অংসাবিধানিক। কারণ, গত সোমবার পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যামেম্বলির বিশেষ অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার সুরির অনুমোদনেই প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছিল বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ।

রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী জোটের তরফে পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধান-বিরোধী এবং তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই পাক সংবিধানের ৫ নম্বর ধারা মেনে এ নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হতে দিতে পারবেন না তিনি।

এর পরেই ইমরানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আলভি। তার প্রতিবাদে রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা নেতৃত্ব। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে সোমবার থেকে শুনানি শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − four =