পেসাররা দুর্দান্ত, ইডেনে প্রথম দিন শেষে বাংলাকে চাপে রাখল ব্যাটিং

রঞ্জি ট্রফির সপ্তম রাউন্ডে ঘরের মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলছে বাংলা। গত ম্যাচে কল্যাণীতে হরিয়ানার কাছে হারের পরই নকআউটের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল। অন্য ম্যাচের রেজাল্ট ছিটকে দিয়েছে বাংলাকে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটি মূলত মর্যাদা রক্ষার। আরও একটি কারণে ম্যাচটি বাংলার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলছেন বাংলা-দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা কিপার-ব্য়াটারের। কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া ঋদ্ধি নিজেও। কিছুটা সময় কিপিং করেছিলেন। তাতে জোড়া ক্য়াচ। ব্য়াট হাতেও ভরসা দিতে হবে ঋদ্ধিকেও।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলা অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার পেসাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও সুমিত মোহন্ত ৪টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও মহম্মদ কাইফ নিয়েছেন দুটি উইকেট। পঞ্জাবকে ১৯১ রানেই অলআউট করেছে বাংলা। অনুষ্টুপদের মতো পঞ্জাবের কাছেও নকআউটের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে মর্যাদার ম্যাচে কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ।

বাংলার ওপেনিং জুটি শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস হয়নি। দলীয় ১৮ রানে অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় এবং ৪২ রানে আর এক ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্য়ায় আউট। দ্রুতই সুদীপ ঘরামির উইকেটও হারায় বাংলা। তবে অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুমন্ত গুপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। বাংলার রান তোলার গতিও প্রশংসনীয়। কিন্তু দিন শেষে চাপে রাখল ব্য়াটিংই। দিনের খেলা শেষের কিছুক্ষণ আগেই ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ মজুমদারের উইকেট হারায় বাংলা। ৪৪ বলে ৩২ রান করেন ক্রাইসিসম্যান অনুষ্টুপ।

পঞ্জাবের ১৯১ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে ১১৯ রান তুলে নিয়েছে বাংলা। সুমন্ত গুপ্তর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন নাইটওয়াচম্যান সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। এখনও অভিষেক পোড়েল, ঋদ্ধমান সাহার মতো ব্যাটার রয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের সকালটা বাংলার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 − one =