তাপ প্রবাহের লাল সতর্কতা জারি থাকলেও তাকে উপেক্ষা করেই রবিবার সকাল থেকেই ভোট প্রার্থীরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তাই রবিবার ছুটির দিনকে বাদ দিতে নারাজ শাসক থেকে বিরোধী সব দলের প্রার্থীরা। একদিকে পঞ্চানন তলা এলাকাতে জনসংযোগ করছেন ঘাস ফুলের বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরদিকে সাঁকরাইল ব্লকের আন্দুল স্টেশন রোড এলাকাতে জনসংযোগ সারলেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। ভোটের আবহে তীব্র গরমের হাত থেকে সতর্ক থাকার বার্তাও দিচ্ছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগের মধ্যেই বিজেপিকে নিশানা করে প্রসূনের দাবি, ‘আমরা বাংলার লোককেই চাই, বাংলার বাইরে থেকে এসে বাংলাতে কাউকে মাতব্বরি করতে দেব না। বিরোধীরা সব বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে। কোনও লাভ নেই। নির্বাচনের পর বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না।’
যদিও সাংসদের দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টে চিকিৎসক প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী গরমে সুস্থ থাকার টোটকা দিলেন জনসংযোগে বেরিয়ে। তিনি বলেন, ‘এই গরমে যেন সকলে হালকা রঙের পোশাক পড়েন, সরাসরি রোদের হাত থেকে নিজেকে যতটা রক্ষা করা যায়, ওআরএস, ডাবের জলের মতো পানীয় খেতে হবে, এটা আমাদের দলের তো বটেই, বিরোধীদের প্রতি আমার নিবেদন।’
রবিবারের প্রচারে শাসক দলের জনসংযোগ কর্মসূচিতেও দেখা গেল এক অদ্ভুত চিত্র। একই কর্মসূচিতে প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকলেও, তাঁরা নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখেই থাকলেন। একসঙ্গে পাশাপাশি হাঁটতেও দেখা গেল না প্রার্থী ও মন্ত্রীকে। প্রায় ৫০ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখলেন প্রসূন ও অরূপ। বিষয়টি নিয়েও কানাঘুষো চলছে শাসক দলের অভ্যন্তরে।
এছাড়াও নিজের জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী রথীন। পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে বারুদের স্তুপে দাঁড়িয়ে আছে যেখানেই খুঁজবে সন্দেশখালি বেরোবে।