নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের আমূল মিষ্টি দই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জেলা স্বাস্থ্য দফতরের

দই থেকে ফুড পয়েজনিং-এর ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে আমুলের নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। যার ব্র্যান্ড নেম ‘আমূল মিষ্টি দই’ ও ব্যাচ নম্বর ‘কেপিভি৩৬৫৩’। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ওই দইয়ের নমুনার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্ট করানো হয়। তাতে ‘স্টেফাইলোকক্কাস অরাস’ নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এই ব্যাচ নম্বরের আমূল মিষ্টি দই বিক্রি করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের ফুড সেফটি কমিশনারকেও এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে সূত্রে খবর, সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ও রায়না এলাকায় শ্রাদ্ধবাড়ির খাবার খেয়ে মোট প্রায় দেড়শো জন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সকলেরই বমি ভাব-সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকি পাশের বাঁকুড়া জেলাতেও একইভাবে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটি ঘটনার পর স্বাস্থ্য দপ্তর মেডিক্যাল টিম পাঠায়। খাবারে বিষক্রিয়া থেকে এই ঘটনা বলে জানতে পারে স্বাস্থ্য দপ্তর। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলার উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (২) জানান, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল দুই জায়গাতেই আমূলের মিষ্টি দই খাওয়ানো হয়েছিল। এরপরই ওই দইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।’

এরপরই উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ওই দই থেকেই পেটের রোগ ছড়িয়েছিল। এর পরই জেলা স্বাস্থ্য দফতর আমূলের ওই ব্যাচ নম্বরের দই বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই ব্যাপারে আমূলের মিষ্টি দইয়ের সমস্ত রিটেলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও হোলসেলারদের চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 10 =