পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামলার ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ালো হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দৌলতনগর এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা নাগাদ দৌলতনগর এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছয় চাঁচলের এসডিপিও (SDPO) শুভেন্দু মণ্ডল এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস। এই হামলার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজীব ও তার দলবদলের সঙ্গে বর্তমান সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পিন্টু যাদব এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ সামায়ুনের মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু হয়। আর তাতেই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এই হামলার ঘটনায় কোনওরকম হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এই হামলার ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ টহলদারি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে সম্প্রতি অনাস্থার মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধান মহম্মদ নজিবকে অপসারিত করা হয়। নতুন প্রধান হয় তৃণমূলের পিন্টু যাদব। আর সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এই হামলা। আর তাতেই ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়ি এবং রাস্তার ধারে থাকা কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন, এই গোলমালের বিষয়টি শুনেছি। তবে এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক প্রসঙ্গ আছে কিনা বলতে পারব না। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গ্রাম্য কোনও বিবাদকে ঘিরেই গোলমাল হয়েছে। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। ১৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। যদি রাজনৈতিক কোনো গোলমালে ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে দল অবশ্যই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।