ব্যারাকপুর : শনিবার বিকেলে পানিহাটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবস্তির মৌলানা সেলিম রোডে খুন হন শেখ আরমান ওরফে দুখিয়া ( ৩৫)। অভিযোগ, ওইদিন নয়াবস্তি এলাকায় আরমানকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে শেখ বসির ওরফে ছানা ও শেখ আসিফ। প্রথমে ওরা আরমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায়। তারপর ইঁট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে। ঘটনার দিন রাতেই খড়দা থানার পুলিশ শেখ বসির ও শেখ আসিফকে গ্রেপ্তার করে।
রবিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে, বিচারক ধৃতদের দশদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তবে ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতদের বাবার খুনের বদলা নিতেই এই খুন। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০০৭ সালে শেখ আসিফের বাবা শেখ রিয়াজকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল আরমানের বিরুদ্ধে। এরপর ২০১২ সালে শেখ বসিরের বাবা উজির আলি নস্করকেও কুপিয়ে এবং গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে সেই আরমানের বিরুদ্ধে।
ধৃতদের দাবি, ১৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পায় শেখ আরমান। ধৃতদের অভিযোগ, জেল থেকে বেরিয়ে আরমান দুজনকেই খুন করার হুমকি দিচ্ছিল। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় শেখ বসির জানায়, ২০১২ সালে আরমান তার বাবাকে খুন করেছিল। তাই ওকে মেরে দিলাম।
পানিহাটির দু-দুটি খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ভাগবাটোয়া নিয়ে লড়াই চলছে। শুধুমাত্র পানিহাটি নয়। গোটা বাংলা জুড়ে এমন ঘটনা আরও বাড়বে। এরজন্য দায়ী পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা।