হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বৃন্দা কারাতও। কিন্তু তার আগে ধামাখালিতে বাধা পুলিশের। আটকানো হয়েছে বৃন্দা ও শুভেন্দুকেও। পুলিশ আধিকারিক জানালেন শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢুকতে দেওয়া হল না তাঁদের।
এদিকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ৫ জায়গায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন বাহিনী।
বাধা পাওয়ার পর বৃন্দা জানিয়েছেন, ‘কয়েকদিন আগে সন্দেশখালির মহিলারা আমায় জানিয়েছিলেন এখানে এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কথা শোনার জন্য। তবে পুলিশ ম্যাডাম বলছেন আমরা গেলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতদিন পুলিশ কোথায় ছিল যখন নারী নির্যাতন চলছিল?’
অন্যদিকে, এর আগে দুবার সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েও পৌঁছতে পারেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৪৪ ধারাকে হাতিয়ার করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। জল গড়ায় আদালতে। সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে শর্ত সাপেক্ষে বিরোধী দলনেতাকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। কিন্তু তারপরও এদিন ফের সন্দেশখালির পথে আটকানো হল শুভেন্দুকে। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, এক ঘণ্টা অপেক্ষা করবেন। তারপর রওনা দেবেন কোর্টের উদ্দেশ্যে। ‘আদালতের নির্দেশেই সন্দেশখালিতে এসেছি’, এমনটাই জানান বিরোধী দলনেতা।