নয়াদিল্লি : ওয়াকফ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে ১১টি পিটিশনের উপর শুনানিতে মঙ্গলবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইন সংবিধানসম্মত হিসেবে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে, যদি কোনও গুরুতর অসংগতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি গাভাই এবং বিচারপতি এজি মাসিহ ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে করা একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণ দেন। প্রসঙ্গত, গত মাসেই সংসদে আইনটি পাস হয়। আদালত আগে তিনটি মূল বিষয় চিহ্নিত করে, যার উপর শুনানি চলবে।
এই তিন বিষয় হল, ওয়াকফ জমির ব্যবহার, ওয়াকফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্যদের নিয়োগ, রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যক্রম ও সরকারের জমি চিহ্নিতকরণ। কেন্দ্রীয় সরকার এই তিনটি বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে, বিষয়গুলো নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫ কে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদনের শুনানি করে। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন, এদিন আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘আইনটি সরকারের ওয়াকফ সম্পত্তি দখলের প্রচেষ্টা।’
সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিবাল এবং অভিষেক মনু সিংভি আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন। তাঁরা বলেন, “আইনটি ওয়াকফ জমি অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।” সিব্বল বলেন, “নতুন আইনে বলা হয়েছে, শুধু পাঁচ বছর ধরে ইসলামী রীতিতে বিশ্বাসী ব্যক্তি ওয়াকফ করতে পারে। এটি সংবিধানবিরোধী।”
সিববল দাবি করেন যে, গ্রাম পঞ্চায়েত বা একক ব্যক্তি কোনও জমি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারে। জমিটি আর ওয়াকফ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে না। তিনি বলেন, “সরকারি কর্মকর্তা নিজেই বিচারক হিসেবে কাজ করবেন।”