অন্যের সঙ্গে স্ত্রী পালানোর দাবিতে আত্মঘাতী স্বামী!

নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: পরপুরুষের হাত ধরে স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার দাবি। আর তার শোকে স্বামী আত্মহত্যা করার অভিযোগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভাতছালা এলাকায়। পরিবারের দাবি, সরস্বতী পুজোর দিনে স্বামীকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান স্ত্রী আশা মালিক। স্ত্রী চলে যাওয়ায় শোকে আত্মহত্যা করলেন পেশায় ভ্যান চালক মণ্টু মালিক।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর দিনেই অনেক চেষ্টা করে স্ত্রীর কোনও খোঁজ না পেয়ে অবশেষে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী মণ্টু মালিক। বৃহস্পতিবার সকালে অনেক ডাকাডাকির পর সারা না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁকে পরিবারের সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এলাকাবাসীর দাবি, মণ্টু বউ পাগল ছিলেন এবং বউ ছাড়া থাকতে পারতেন না। মন্টুবাবু তার স্ত্রীকে এতটাই ভালোবাসতেন যে তাঁর হাতে স্ত্রীর নাম লিখে রেখেছিলেন। কাজের থেকে বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে না পেলে ব্যাকুল হয়ে উঠতেন। যদিও মণ্টুবাবু আগে থেকেই জানতেন স্ত্রী পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন। স্ত্রীকে বারবার বোঝানো সত্ত্বেও তিনি কোনও কথা শোনেননি। এমনকি পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে বাড়ির আত্মীয়স্বজনরাও তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কারও কথা না শুনে সরস্বতী পুজোর দিন অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী পালিয়ে যান। আর সেই শোকে নিজের ঘরেই আত্মহত্যা করেন স্বামী।
তাঁদের দু’টি কন্যাসন্তান রয়েছে। যার মধ্যে একটি কন্যা বিবাহিতা। মণ্টু মালিক পেশায় ভ্যানচালক। কষ্ট করে সংসার চালাতেন এবং একটি মেয়েকে বিয়েও দিয়েছিলেন। মণ্টু মালিকের মৃত্যুতে পরিবার সহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 4 =