নাভালনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই দিকে দিকে উঠেছিল পুতিন বিরোধী স্লোগান। পুতিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন রুশ নাগরিকরা। এই আবহেই রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্লেষকদের মতে, এই ভোটপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে নাভালনির মৃত্যুর ঘটনা।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সকলে মিলে একযোগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। প্রত্যেকটা ভোট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমি চাই আপনারা এই ভোটপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। নিজেদের ভোটাধিকারের অধিকারকে অনুভব করুন।
২০০০ সালের মার্চে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের মসনদে বসেন পুতিন। শুরু হয় এক নতুন জমানার। তার পর থেকেই তিলে তিলে ‘ব্র্যান্ড পুতিন’ গড়ে তোলেন রুশ রাষ্ট্রনেতা। এই বছরের নির্বাচনে পুতিনের জেতা একপ্রকার প্রায় নিশ্চিত। ভোটে জিতলে আগামী ছয় বছরের জন্য ক্ষমতার রাশ থাকবে তাঁর হাতেই। এনিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে আজীবনই রাশিয়ার মসনদে থাকতে চান পুতিন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুশ জেল কর্তৃপক্ষ নাভালনির মৃত্যুর খবর জানায়। তার পর থেকেই সরগরম হয়ে ওঠে রাশিয়ার রাজনীতি।