হাওড়া : হাওড়া শহরে বহু অবৈধ নির্মাণের ভুড়ি ভুড়ি অভিযোগ এসেছে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। মাঝেমধ্যে পৌর নিগমের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান হলেও সেইভাবে বিশেষ অভিযান চালিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। তবে, এই নিয়ে রাজনৈতিক বাদানুবাদ হয়েছে বহুবার। এবার হাওড়া পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসকের দায়িত্ত্ব নেওয়ার পরে সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার, হাওড়া পৌর নিগমের অফিস থেকে হাওড়া শহরে অবৈধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ফের একবার আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান মুখ্য প্রশাসক। তিনি স্পষ্ট বলেন, যে সমস্ত নির্মাণকাজ নতুন করে শুরু হতে চলেছে হাওড়া শহরে, তাদের সবকটিতে পৌর নিগম অনুমোদিত প্ল্যানসহ অন্যান্য তথ্য নির্মানস্থলের বাইরে টাঙিয়ে রাখতে হবে। এটা পৌর নিগম থেকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই বোর্ডে নির্মাণকারীর নাম ও কার জমিতে ওই নির্মাণ কাজ চলছে তাও থাকতে হবে। এছাড়া এই বিষয়টিতে নিগমের তরফ থেকে নজরদারি রাখা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও যে সমস্ত নির্মাণ কাজ সম্পূর্ন হয়ে গিয়েছে সেখানে নূন্যতমচ্যুতিও পৌর নিগম বিবেচনা করে দেখবে। সেক্ষেত্রে জরিমানা আদায় করে ওই চ্যুতিকে আইনত করার ব্যবস্থা থাকবে। তবে চ্যুতি যদি বড় হয় সেক্ষেত্রে কোনোভাবেই বিবেচনা করা হবে না বলে জানান মুখ্য প্রশাসক। যে সমস্ত ক্রেতারা ওই জায়গা কিনবেন পরবর্তীতে তা পৌর নিগমের থেকে মিউটেশন করতে সমস্যাতে পড়বেন। তাই তিনি নির্মাণকারীদের জানাতে চান যে, তারা যেন ক্রেতার স্বার্থে নির্মাণের সময় প্ল্যান অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করেন। না হলে পরবর্তীকালে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই সমস্যাতে পড়বেন। যদিও মূখ্য প্রশাসক মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে রাজ্য বিজেপি নেতা উমেশ রাই। তিনি বলেন, যদি ওনার অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করার সদিচ্ছা থাকত, তা হলে ওনার মুখ্য প্রশাসক হওয়ার পরে অবৈধ নির্মাণ হাওড়া শহরে বন্ধ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বেশ কয়েকটি অবৈধ নির্মাণের তথ্য দিয়ে তাকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তাতে ওই নির্মানগুলো বন্ধ হয়নি বরং তাদের নির্মাণ কাজ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, পৌর নিগমের শেষ সাত-আট বছরের বাজেটটাই দাঁড়িয়ে আছে অবৈধ নির্মাণ থেকে পাওয়া জরিমানার অর্থের উপরে। তাই এইসব কথা বলে তিনি মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা।