রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হল শুক্রবার। শীতকালীন অধিবেশনে হাজিরা নিয়ে এবার বেশিই কড়া তৃণমূল শিবির। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর নির্দেশ, বিধানসভায় প্রবেশ ও বেরনোর সময় বিধায়কদের সই করা বাধ্যতামূলক। দলকে না জানিয়ে কারও অনুপস্থিতি গ্রাহ্য হবে না। এমনই বিবিধ কড়া নিয়মের বেড়াজালে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে রাখা হাজিরা খাতায় সকলে সই করে ভিতরে ঢুকেছেন। আর তা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা কি ßুñলে পড়ি যে নিয়ম করে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে? দলের নির্দেশ, তাই সই করলাম।’ এর পর তিনি আরও বলেন, ‘সকলের দায়িত্ব আছে। নিজের দায়িত্ব পালন করুক সবাই।’
শোকপ্রস্তাব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে অধিবেশনের সূচনা হয়। প্রাক্তন বিধায়ক রবীন মণ্ডল, সরোজ রঞ্জন কাঁড়ার, রাম পেয়ারে রাম, প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া, কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ এম এস স্বামীনাথন, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বিষেন সিং বেদীর প্রয়াণে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পরই এবার বিধানসভায় সরকার পক্ষের বিধায়কদের বাধ্যতামূলকভাবে হাজিরা খাতায় সই করতে হচ্ছে। পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে হাজিরা খাতায় সই করেছেন বিধায়করা। সইয়ের পাশে উল্লেখ করতে হয়েছে বিধানসভায় ঢোকা ও বেরনোর সময়ও। কিন্তু দলের এই নির্দেশ নিয়েই বিধায়কদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফিরহাদের পাশেই এদিন ছিলেন মলয় ঘটক। তিনি বলেন, ‘আমি তো নিয়মিত বিধানসভায় আসি। আজ পর্যন্ত ১১ বছরে একটা দিনও কামাই করিনি।’ বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘টাইমে ঢুকেছি, টাইমেই বেরিয়েছি। ভালই লাগছে ব্যাপারটা।’