নিজস্ব প্রতিবেদন, খণ্ডঘোষ: রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের ব্লক সভাপতিকে ‘টেররিস্ট’ আখ্যা দিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। পালটা প্রতিক্রিয়া দিলেন খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম।
এদিন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পোলেমপুর এলাকা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। প্রচারে বেরিয়ে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান। মানুষ মোদিজিকে, বিজেপিকে চাইছেন বলে দাবি সৌমিত্রর। বিষ্ণুপুর লোকসভা থেকে নিজের জয়লাভের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী তিনি। আগামী দিনে আরও কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। হিন্দু মন্দিরের চামড়ার বেল্ট পরে যাওয়ার কারণে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ এনেছেন একই লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। সেক্ষেত্রে নিজের ভুল কার্যকর স্বীকার করে নিয়েছেন সৌমিত্র। চামড়ার বেল্ট পরে মন্দিরে যাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি। তবে যারা হিন্দু ধর্মকে কলঙ্কিত করার অভিযোগ তুলেছেন তাঁদের মত, নমাজ কিংবা জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে গালাগালি বলার মতো কাজ তাঁরা করেন না বরং অন্য ধর্মকে সম্মান দেন বলে জানান সৌমিত্র।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমা-গুলি-বারুদ উদ্ধার হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সৌমিত্র জানান, সারা রাজ্যের মতো খণ্ডঘোষের উখরিদ সহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী হিন্দুদের মহিলাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। বোমা পাওয়া যাওয়ার বিষয়টিকে পশ্চিমবঙ্গের শিল্প বলে উল্লেখ করেন তিনি। নাম না করলেও খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলামকে পুরোপুরি টেররিস্ট আখ্যা দেন সৌমিত্র।
সৌমিত্র খাঁর পালটা জবাব দিয়েছেন খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। বাক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি বোমাবারুদ রেখে শুটিং করছে। কোনও জায়গাতেই জিততে পারবে না বলে ভয় পেয়ে গিয়েছে তারা। সারা ভারতে ১০০ পেরতে পারবে না বিজেপি। আবার হাইকোর্টের কী রায় হবে সেটাও বলে দিতে পারে তারা এমনটাই দাবি অপার্থিব ইসলামের। পাশাপাশি সন্দেশখালির ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।