লালবাজারের তলব পেয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। কলকাতা পুলিশের তরফে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাঁকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সূর্যনীল দাস জানান, তলব করা হয়েছে। কিন্তু কী কারণ ডাকা হচ্ছে, তার কোনও কারণ পুলিশের তরফে জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, সূর্যনীল দাসকে নোটিস পাঠান হয়েছে লালবাজারের রেইড সেকশনের তরফ থেকে। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে সায়েন্স সিটির সামনে আটকানো হয়েছিল। আইনজীবী সূর্যনীল দাস এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন তোলেন যে, আইনের কী প্রভিশন আছে ওঁকে আটকানোর। এরপরই আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সূর্যনীল দাসকে ডেকে পাঠান হয়েছে লালবাজারে। পুলিশের তলব পাওয়ার পরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সূর্যনীল দাস।
এদিকে, সন্দেশখালি ঢুকতে বাধা পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। আদালত ১৪৪ ধারা বাতিল করার পরেও ফের পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে তাঁর পথ আটকেছে বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। পুলিশের বাধা টপকে এগোতে না পেরে বিধায়কদের নিয়ে রামপুরে রাস্তার উপরেই বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। রাস্তায় বসেই পুলিশকে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরবর্তী ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত না থাকায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে গত শুক্রবার মামলা দায়ের করেন তিনি। সোমবার সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারির উপর অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী সাত দিনের জন্য স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে, নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালি যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।