ব্যারাকপুর : প্রশ্নের উত্তর না বলায় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। হামলায় গুরুতর জখম পরীক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দু’টো পরীক্ষা সে দিতে পারেনি। নোয়াপাড়া থানার ইছাপুরের ঘটনা।
গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। ইছাপুর বিভূকিঙ্কর হাইস্কুলে সিট পড়েছে ইছাপুর নর্থ ল্যান্ড হাইস্কুল ও গারুলিয়া মিল হাইস্কুলের। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। জানা গিয়েছে, ইতিহাস পরীক্ষার দিন প্রশ্নের উত্তর লিখতে না পারায় ইছাপুর নর্থ ল্যান্ড হাই স্কুলের ছাত্র শুভ বর্মনের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল গারুলিয়া মিল হাইস্কুলর দু-তিনজন ছাত্র। কিন্তু উত্তর না বলায় শুভ-র ওপর ক্ষোভ জন্মায়। অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্র বিভূকিঙ্কর স্কুল থেকে বাইরে বেরোতেই শুভর ওপর হামলা চালায় গারুলিয়া মিল হাই স্কুলের তিন-চারজন ছাত্র। সেইসময় আক্রান্তের এক সহপাঠী পুলিশকে তৎক্ষণাৎ জানায়। পুলিশ এসে আক্রমণকারীদের ঘটনাস্থল থেকে হটিয়ে দেয়। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী গারুলিয়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিরঞ্জন বি-ব্লকের বাসিন্দা। আক্রান্তের পিতা কালু বর্মনের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে হামলাকারীদের সরিয়ে দেয়। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে একটা মাল্টি জিম সেন্টারের সামনে ফের হামলাকারীরা ছেলেকে ঘিরে ধরে বেধড়ক পেটায়।
কালু বাবু আরও জানান, ওরা মেরে ছেলের নাক-মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় পরদিন ছেলেকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। ওইদিন রাতেই নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কালু বাবুর দাবি, হাসপাতালে ভর্তি থাকায় ছেলে ভূগোল ও গণিত পরীক্ষা দিতে পারেনি। যদিও এদিন জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা কোনওক্রমে দিয়েছে। সোমবার ফের ওকে চিকিৎসার জন্য আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তবে ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবার ও পড়শিরা। ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর অসীম বর্মন বলেন, খুব দুঃখজনক ঘটনা। প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত ছিল। অসীম বাবু আরও বলেন, ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে নজর রেখে ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে পাকড়াও করা উচিত।