হাওড়া : বাড়িতে বসে মোবাইলে নেট চালাতে আমরা সকলেই অভ্যস্ত। আত্মীয় বাড়িতে এলে সেও আজকের সময়ে চেয়ে বসে বাড়ির ওয়াই-ফাই এর নাম ও তার পাসওয়ার্ড। তবে ওয়াই-ফাই মোবাইলে সার্চ করলে যদি স্ক্রিনে ফুটে ওঠে ‘আল কায়দা’ এবং ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ এর নাম! ঘাবড়ে গেলেও এটা সত্যি ঘটেছে হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেনে। সেখানে যে কেউ ওয়াই-ফাই মোবাইলে খুঁজলেই অন্যান্য গ্রাহকদের নামের সঙ্গে উঠে আসছে দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম। আর এতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। সত্যিই কি ওই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক দু’টি চালাচ্ছে কোনও জঙ্গি সংগঠন ? তা নিয়ে ধন্দে এখনো সাইবার বিশেষজ্ঞরা। যদিও তাদের দাবি, এভাবে প্রকাশ্যে কোনো জঙ্গি সংগঠন তার নাম সামনে আনবে না।
তবুও পুলিশের সতর্ক থাকাটা জরুরি। হতে পারে এটা নিছক মজা করার জন্য কেউ করেছে। তবু পুলিশের উচিত তদন্ত করে দেখা। তবে কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে এই সব নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনেই। উত্তর এখনো অধরা। উত্তর না জানা পর্যন্ত প্রশ্ন ও একটা উৎকণ্ঠার চোরা স্রোতের মতো বয়েই চলেছে মগজে। হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকার বাসিন্দা শৌভিক সেনগুপ্ত বিষয়টি নিয়ে সত্যি অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন, ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করলে আসছে দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নাম। দেখাচ্ছে ‘আল কায়দা’ এবং ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর মতো দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নামে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে তাতে পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে। যে কেউ ওই ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার সংযুক্ত করতে পারবেন না।
গত এক বছর ধরে এই কাণ্ড ঘটে চলেছে বলেই দাবি করেন সৌভিক। গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই তিনি হাওড়া সিটি পুলিশ-কে জানিয়েছেন। জানান হয়েছে সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও। কিন্তু, এখনও বিষয়টি নিয়ে কোনও তৎপরতা নেই পুলিশের মধ্যে। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ নির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় আসেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা ওই স্থানে পৌঁছে ওই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে খোঁজখবর করেন বাসিন্দাদের কাছ থেকে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।