ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দীর্ঘ বিরতির পর নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। গত ১৭ মে ফিরেছে আইপিএল। সেদিনই ঘরের মাঠে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল আরসিবির। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটিই হয়নি। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচটি বৃষ্টির আশঙ্কাতে সরানো হয় লখনউতে। যেখানে খুবই প্রচলিত লাইন-মুসকুরাইয়ে আপ হ্যায় লখনউ ম্যায়খ। হোম ম্যাচেও হাসি উড়ল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।
প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তার উপর গুজরাট টাইটান্স গত ম্যাচে হারায় শীর্ষস্থানে থাকারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এর জন্য প্রয়োজন ছিল বাকি দুই ম্যাচ জেতা। আপাতত শীর্ষ দুইয়ে থাকাও সঙ্কটে আরসিবির। অঙ্ক কঠিন হল। লখনউয়ে নিজেদের হোম ম্যাচে বিশাল স্কোর তাড়ায় সানরাইজার্সের কাছে ৪২ রানে হার বিরাট কোহলিদের। নেট রান রেটেও অনেকটা পিছিয়ে পড়ল আরসিবি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অনেক আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল। এরপর অনেক বেশি খোলামনে খেলতে পারছে তারা। হারানোর কিছুই নেই। কিন্তু অন্য দলের জন্য অঙ্ক জটিল করছে। এর আগের ম্যাচে লখনউকে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছুটি করে দিয়েছিল। এ দিন আরসিবির বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স। বোর্ডে বিশাল স্কোর। সৌজন্যে ঈশান কিষাণের দুর্দান্ত ইনিংস। মাত্র ৪৮ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩১ রান করে সানরাইজার্স।
আরসিবি এ বারের আইপিএলে ২০০ প্লাস স্কোর তাড়া করে জেতেনি। এ দিন তাই রাস্তা কঠিন ছিল। কিন্তু টিমে চেজমাস্টার বিরাট কোহলি থাকলে একটা আশা তো থাকেই। ফিল সল্টের সঙ্গে বিরাট কোহলি যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, সম্ভাবনা বাড়ছিল। ওপেনিং জুটি ভাঙে বিরাটের আউটে। ২৫ বলে ৪৩ রানে ফেরেন তিনি। ৩২ বলে ৬২ রান করে ফিল সল্টও ফিরতেই চাপ ডাবল হয়। মিডল ও লোয়ার অর্ডার সেই চাপ নিতে পারেনি।
স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং সানরাইজার্সের। ব্যাটিংয়ে যেমন ঈশান কিষাণ তেমনই বোলিংয়ে ঈশান মালিঙ্গা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিলেন ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সও। ১৮৯ রানেই আরসিবিকে অলআউট করে সানরাইজার্স। লিগ পর্বে আরসিবির শেষ ম্যাচ লখনউয়ের বিরুদ্ধে।