নারী দিবসের আগে কলকাতার বুকে মিছিল তৃণমূলের। বৃহস্পতিবারের এই মিছিলে সবথেক বড় চমক রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুমণি অধিকারীর উপস্থিতি। এই মিছিল থেকে তৃণমূলে যোগদান করলেন মুকুটমণি। মিছিলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে পাশে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। তাপস রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়েছিল বিজেপি। এরই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপিতেও বড় ভাঙন। নিঃসন্দেহে লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মুকুটমণির কেন্দ্র মতুয়াদের বড় গড়। ফলে এই দলবদল আগামী ভোটের আগে কিছুটা হলেও চাপ বাড়াতে বিরোধী শিবিরে।
লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই দলবদলেরও হিড়িক লেগে গিয়েছে। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি যান আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। এর পরপরই দল ছাড়েন তৃণমূলের দুই দশকের সৈনিক বরানগরের জনপ্রতিনিধি তাপস রায়। সোমবার দলত্যাগের পর বুধবার তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।
এদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ৭ তারিখ বড় যোগদানপর্ব রয়েছে তাঁদের। কথামতোই এদিন বিজেপিতে যোগ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এসব নিয়ে যখন চর্চা তুঙ্গে তখনই বড় চমক এদিন দেখা গেল তৃণমূলের মিছিলেও। ১০ তারিখ তৃণমূলের ব্রিগেড সভা। তার আগেই বিজেপির হেভিওয়েট বিধায়ক নাম লেখালেন তৃণমূলে।
এদিকে এদিনের মিছিলে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় সন্দেশখালির মহিলাদেরও। তাঁরাও এদিনেরএ ই মিছিলেন যোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, এর মধ্যে দিয়েই তৃণমূল বার্তা দিতে চাইছে, সন্দেশখালির মহিলারা তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।
এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, এর মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা দল যে সুদীপের সঙ্গেই রয়েছে, সেই বার্তাই কার্যত দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাপস রায় উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন, এমন একটা জল্পনা সম্পরিত রাজনৈতিকমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উত্তর কলকাতায় এই মিছিলের মাধ্যমে তৃণমূলের তরফ থেকেও তাপসকে পাঠানো হল একটা পাল্টা বার্তা।