শনিবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে গদিচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান। আর তার পরই শোনা যাচ্ছে এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরতে পারেন চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। সূত্রের খবর, তিনি নিজেও নাকি সেরকমই চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। রামিজ আইসিসি-র মিটিংয়ের জন্য দুবাইয়ে। আজ, রবিবারই আইসিসি-র মিটিং শেষ হয়েছে। দিনকয়েকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রামিজ রাজার ভবিষ্যৎ।
ইমরানের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রামিজ। তিনি নিজেও পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইমরানের নেতৃত্বে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। সেই চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন রামিজ। ফাইনালে ইলিংওয়ার্থের ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি। বোলার ছিলেন ইমরান স্বয়ং। ইলিংওয়ার্থ ছিলেন ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান। আর ইলিংওয়ার্থ ফিরতেই পাকিস্তান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে রামিজ পিসিবি-র চেয়ারম্যান হন। বলা ভাল ইমরানের ডাকেই সাড়া দেন রামিজ।
সেই সময়ে রামিজ একটা শর্তেই পিসিবি-র চেয়ারম্যান হন। আর তা হল, কিংবদন্তি অধিনায়ক যতদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তিনিও ততদিনই পাকিস্তান ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার চেয়ারম্যান পদে থাকবেন। পিসিবি-র পদে বসার আগে ধারাভাষ্যকার হিসেবে সমাদৃত ছিলেন রামিজ। টেলিভিশনে শো করতেন। কিন্তু ইমরানের ডাক ফেলতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, ইমরান গদিচ্যুত হওয়ায় এবার সরতে হবে রামিজকে।
ইমরান নিজেও বোর্ডের প্যাট্রন ইন চিফ। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির হয়ে যাবে সোমবারই। যেহেতু রামিজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন তাই নতুন প্রধানমন্ত্রী কাজ শুরু করার পরে পিসিবি-র হয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না রামিজ রাজার পক্ষে। পিসিবি-র চেয়ারম্যান পদে বসার পরে পাক ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন আনেন রামিজ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরান মিসবা উল হককে, বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসকেও সরিয়ে দেন রামিজ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও মহম্মদ রিজওয়ানদের খেলা মন জিতে নেয় সবার। কিন্তু এখন পালাবদলের সময় পাকিস্তানে। ইমরান খান সরলেন। এবার পিসিবি থেকেও হয়তো সরতে হবে রামিজ রাজাকেও।