জিডি বিড়লা স্কুল খুললেও বাড়ল জট, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

শর্ত সাপেক্ষে সোমবারই স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছিল কলকাতার নামী স্কুল জি ডি বিড়লা। স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যে সব পডুয়ার ফি ১০০ শতাংশ দেওয়া হয়নি, তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সোমবার স্কুল খুলতেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন অভিভাবকরা।

হাইকোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল, ফি বাকি থাকলেও পডুয়াদের নতুন ক্লাসে ওঠায়, পড়াশোনায় বাধা দেওয়া যাবে না। ফলে, আদালত অবমাননার অভিযোগ ছিল আগেই। এবার শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চনার অভিযোগ জুড়ল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার তা শুনানির সম্ভাবনা।

এর আগে জিডি বিড়লা কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল, যে সমস্ত পড়ুয়া ১০০ শতাংশ ফি মিটিয়েছে, তারাই শুধুমাত্র ক্লাস করার অনুমতি পাবে। অর্থাৎ যারা ফি-র ৮০ শতাংশ দিয়েছে, তারাও ক্লাস করতে পারবে না। এর বিরোধিতায় মামলা হয় হাই কোর্টে। ৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাস করা আটকানো যাবে না। নোটিস দেখে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা স্পষ্ট জানান, কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, শিক্ষা মৌলিক অধিকার। কিন্তু হাই কোর্টের সেই রায় না মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজের অবস্থানে অনড় থাকে।

এদিন স্কুল খোলার পর দেখা গেল, হলুদ রঙের বিশেষ পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে একদল পড়ুয়াকে। এতে অবাক হন অভিভাবকরা। পরে জানা যায়, হাই কোর্টের নির্দেশ অবমাননা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যাদের ফি সম্পূর্ণ দেওয়া হয়নি, তাদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আর ওই হলুদ পরিচয়পত্রটি তাদের জন্য, যারা ১০০ শতাংশ ফি দিয়েছে।

পড়ুয়াদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করার এই নিন্দনীয় উপায় দেখে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে এদিনই আদালতে মামলা দায়েরের অনুমতি চান। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অনুমতি দিলে তাঁর ডিভিশন বেঞ্চেই দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 7 =